পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সরকারের সহিত সকল সম্পর্ক ছেদ করিবার সময় আজ উপস্থিত। প্রতি সরকারী কর্ম্মচারী, সে তুচ্ছ চাপরাশী অথবা প্রাদেশিক গভর্ণরই হউক, নিজের কাজের দ্বারা ভারতবর্ষে কেবল বৃটিশ সরকারের বুনিয়াদকে পাকা করিতেছে। সরকারের অবসান করিবার শ্রেষ্ঠ উপায় তাহার নিকট হইতে সরিয়া আসা। আমি টলষ্টয়ের নীতির কথা শুনিয়া অথবা গান্ধীর প্রচারে মুগ্ধ হইয়া একথা বলিতেছি না, নিজে উপলব্ধি করিয়া বলিতেছি।....কয়েকদিন হইল আমার পদত্যাগপত্র দাখিল করিয়াছি। গৃহীত হওয়ার সংবাদ এখনও পাই নাই।

 আমার পত্রের উত্তরে চিত্তরঞ্জন দাশ মহাশয় সম্প্রতি দেশে যে কাজ চলিতেছে তাহার বিষয়ে লিখিয়াছেন। বর্ত্তমানে আন্তরিকতাপূর্ণ কর্ম্মীদের অভাব সম্বন্ধে তিনি অভিযোগ করিয়াছেন। সুতরাং দেশে ফিরিবার পর অনেক প্রীতিপ্রদ কাজ আমি পাইব।....আর কিছু আমার বলিবার নাই। ফিরিবার সব পথ রুদ্ধ করিয়া আমি ঝাঁপ দিলাম,—আশা করি ইহার ফল শুভই হইবে।

(ইংরাজী হইতে অনুদিত)

৬৫
কেম্ব্রিজ
১৮।৫।২১

 স্যর উইলিয়াম ডিউক আমাকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করিতে রাজী করাইতে চেষ্টা করিতেছেন। তিনি এ বিষয়ে বড়দাদার সহিত পত্রালাপও করিয়াছেন। কেম্ব্রিজের সিভিল সার্ভিস বোর্ডের সেক্রেটারী রবার্টস সাহেবও আমাকে আমার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্বিবেচনা করিতে পরামর্শ দিয়াছেন এবং আমাকে জানাইয়াছেন যে ইণ্ডিয়া অফিসের নির্দ্দেশ অনুসারেই তাঁহার এই হস্তক্ষেপ। আমি স্যর

১১৭