পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কারাবন্দী হিসাবে জেলা বোর্ড বা আইন সভার নির্ব্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আইনগত কোনও বাধা আছে।

 * * *

 কলিকাতার রাস্তাঘাটের অবস্থা পর্য্যবেক্ষণের জন্য কর্পোরেশন যে কমিটি নিয়োগ করিয়াছে তাহার সদস্য কে কে হইয়াছেন? এ বিষয়ে আমি নিজে যাহা লক্ষ্য করিয়াছি সে সম্বন্ধে একটি নোট কমিটির নিকট পেশ করিবার জন্য তৈরী করিতেছি; আশা করি আগামী ডাকেই উহা পাঠাইতে পারিব।

[* * সেন্সর কর্ত্তৃক কাটিয়া দেওয়া হইয়াছে * *]

 আমার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে বলিতে পারি যে, জেলে আসার পর এই প্রথম আমি অসুস্থ বোধ করিতেছি। এখানে আসার দিন হইতেই আমার শরীর ভাল যাইতেছে না এবং ক্রমাগত হজমের গোলমালে ভুগিতেছি। আমাদের প্রায় সকলেরই এখানে ঐ একই অবস্থা। এখানকার জলহাওয়া আমার সহ্য হইবে বলিয়া বোধ হয় না। বাঙ্গলা গভর্ণমেণ্টের নিকট বদলির জন্য লিখিবার কোনও ইচ্ছা আমার নাই; কারণ আমি জানি উহা নিরর্থক। মান্দালয় জেলকে বর্মা দেশের সর্ব্বাপেক্ষা স্বাস্থ্যকর জেল বলিয়া ধরা হয়, তবে আমি শুনিয়াছি যে, প্লেগ ও বসন্তে এখানে প্রতি বছর অনেক লোক মরিয়া থাকে। প্লেগেই নাকি মৃত্যু বেশী হয়। গত বছর প্রায় ত্রিশ হাজার লোক প্লেগে মারা গিয়াছে, অবশ্য আমাকে যে খবর দেওয়া হইয়াছে তাহা যদি সত্য হয়।

 এই মাত্র গভর্ণমেণ্ট আমাকে জানাইয়াছেন যে, তাঁহারা আমাকে কোনও family allowance দিবেন না। ইহার অর্থ, আমার বাড়ীঘর দেখা শোনার কোনও খরচ তাঁহারা বোধহয় বহন করিতে চান না। মাসিক চাঁদার কথা বাদ দিলেও বাড়ীঘর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমার কি পরিমাণ খরচ হইত তাহা আপনি জানেন।

১২৩