পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চোখকেই আমি বিশ্বাস করিতে পারি নাই। ইহার পর আর কোনও মন্তব্য করা চলে কি?

 আই জি আমাকে উপদেশ দিয়াছেন যে, প্রতিকারের জন্য আমার মাঝে মাঝে অনশন করা উচিত। (তাহা হইলে গভর্ণমেণ্টের কর্ম্মচারীদের মধ্যেও মহাত্মা গান্ধীর শিষ্য আছে দেখা যাইতেছে!) আমি তাঁহাকে বলিয়াছি যে, সে চেষ্টা আমি করিয়া দেখিয়াছি; উহা আমাকে শুধু দুর্ব্বল করিয়া ফেলে। [* * *  সেন্সর কর্ত্তৃক কাটিয়া দেওয়া হইয়াছে * * * ]

 ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ এখানেই শেষ করিতেছি। আপনি পরবর্ত্তী পত্রে আরও কিছু কিছু খবর দিবেন বলিয়া জানাইয়াছিলেন; আমি ঐ পত্রের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করিতেছি। মিসেস দাশকে এখনও পত্র দিই নাই, শোকের প্রথম আঘাত কাটিয়া যাওয়া পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিতেছি। তবে ভোম্বলকে পত্র দিয়াছি এবং আজকের ডাকে উহার জবাবও পাইয়াছি।

 * * * *

ইতি— 

আপনার স্নেহের 

সুভাষ 

(ইংরাজী হইতে অনূদিত)

৭৫

শ্রীহরিচরণ বাগচীকে লিখিত পত্রাংশ

মান্দালয় জেল
৩-৭-২৫

 তোমার তিনখানা পত্র আমি যথা সময়ে পাইয়াছি। উত্তর দিবার সুযোগ পাই নাই; তা ছাড়া শরীর ভাল নাই। কোনও

১৪২