যে, সমিতিতে সূতা লইয়া ধূতি শাড়ী প্রস্তুত করিবার একটা ব্যবস্থা থাকা উচিত। সভ্যদের বাড়ীতে বাড়ীতে যাহাতে সূতা প্রস্তুত হয় সেদিকে একটু দৃষ্টি রাখিবে। ইতি—
পরবর্ত্তী দুই খানি পত্র বাসন্তী দেবীকে লিখিত
শ্রীচরণেষু মা,
আজ আপনার এই ঘোর বিপদের দিনে আমরা কয়েকজন প্রবাসী কারারুদ্ধ বাঙ্গালী আপনার নিকট সান্ত্বনার বাণী প্রেরণ করিতেছি, যে বিপদ আজ আপনাকে অভিভূত করিয়াছে তদপেক্ষা মহান বিপদ কোন মহিলার জীবনে ঘটিতে পারে না। যে শোক আজ আপনার হৃদয় আচ্ছন্ন করিয়াছে, তদপেক্ষা গভীর শোক কোনও হিন্দু নারীর জীবনে কল্পনা করা যায় না, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে আপনার এই দুর্দ্দিনে আমরা আপনার এবং আপনার পরিবারবর্গের পার্শ্বে আসিয়া দাঁড়াইতে পারিলাম না। বিপদের ঘন কুজ্ঝটিকায় শোকের রুদ্ধ দুয়ার ভেদ করিয়া আমাদের হৃদয়ের বাণী যদি আপনার চরণে পৌঁছায় তাহা হইলে আমরা ধন্য হইব।
যিনি গিয়াছেন তিনি আমাদেরও খুব আপনার জন ছিলেন। আজ আবালবৃদ্ধ-বনিতা সকল ভারতবাসীই কাঁদিতেছে—কিন্তু সব চেয়ে বেশী কাঁদিতেছে বাংলার তরুণ সম্প্রদায়।
তাঁহার আত্মীয়-স্বজন—তাঁহার বাল্য, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়ের বন্ধুরা— আজ তাঁহার জন্য কাঁদিতেছেন। সাহিত্য ও কলা জগতের মহারথীরা—এমন কি সকল ক্ষেত্রের ভাবুক সম্প্রদায়—আজ তাঁহার জন্য অশ্রুপাত করিতেছেন। অভাগা তথাকথিত অস্পৃশ্য জাতিরা আজ তাঁহার জন্য রোদন করিতেছে। যাহাদের জন্য তিনি তাঁহার সঞ্চিত ধন ও যাবতীয় বিষয়সম্পত্তি মুক্তহস্তে বিতরণ করিয়া গিয়াছেন—যাহাদের সেবার জন্য তিনি তাঁহার প্রাণ, মান, স্বাস্থ্য ও
১৪৬