বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

না; এবার পুরোহিত প্রদত্ত কুসুমরাশির দ্বারা স্পর্শেন্দ্রিয়কে ধন্য করিতে পারিলাম না এবং সর্ব্বোপরি “শান্তি জলে”র অভাবে শান্তি লাভ করিতে পারিলাম না, সবই নিষ্ফল হইল; পঞ্চেন্দ্রিয় নিষ্ফল হইল। কিন্তু যদি দেবীর সর্ব্বত্র বিরাজমানা, অম্বরব্যাপিনী মূর্ত্তি দেখিতে পাইতাম, তাহা হইলে মা, সে দুঃখ ঘুচিত—কাষ্ঠপুত্তলিকা দেখিবার ইচ্ছা হইত না; কিন্তু সে আনন্দ, সেইরূপ সৌভাগ্য কয়জনের কপালে ঘটিয়া থাকে। কাজে কাজেই আমার এই দুঃখ রহিয়া গেল।

 বিজয়া দশমীর দিন এখানে পড়িয়া থাকিব কিন্তু মন আপনাদের নিকটেই থাকিবে। এরূপ পুণ্য দিবসে এত আনন্দ হইতে বঞ্চিত রহিলাম। আর উপায় নাই—কল্য রাত্রে আমরা এখান হইতে আপনাদিগকে প্রণাম করিব। আপনি ও বাবা সে প্রণাম গ্রহণ করিবেন ও গুরুজনদিগকে দিবেন।

 আমরা সকলে ভাল আছি। আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আপনি আমার প্রণাম জানিবেন ও বাবাকে জানাইবেন।

ইতি—

আপনার সেবক
সুভাষ

পুনঃ—সারদা কেমন আছে?

শ্রীশ্রীদুর্গা সহায়
কটক
শনিবার

পরম পূজনীয়া

শ্রীমতী মাতা ঠাকুরাণী

শ্রীচরণকমলেষু

মা,

 আজ সকালে আপনার পত্র পাইয়া বিশেষ অনিন্দিত হইলাম, তাহার সঙ্গে মণিঅর্ডারে ৫০, পাইলাম।