কোনও সপ্তাহে আমার পত্র না পান তবে এখানকার সুপারিণ্টেণ্টেকে পত্র বা টেলিগ্রাম দিয়ে আমার খবর নেবেন।
আপনারা সকলে কেমন আছেন—এবং আমার কাহিনী ভাল লাগল কিনা জানাবেন। যদি ভাল লাগে তা হলে আমি আরও লিখতে পারি। আমার প্রণাম জানবেন।
সুভাষ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত
শ্রদ্ধাস্পদেষু—
‘মাসিক বসুমতী’তে আপনার “স্মৃতিকথা” তিনবার পড়লুম—বড় সুন্দর লাগল। মনুষ্য-চরিত্রে আপনার গভীর অন্তর্দ্দৃষ্টি; দেশবন্ধুর সহিত ঘনিষ্ট পরিচয় ও আত্মীয়তা এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার অপূর্ব্ব বিশ্লেষণ ক’রে রস ও সত্য উদ্ধার করবার ক্ষমতা— এই উপকরণের দ্বারাই আপনি এত সুন্দর জিনিষ সৃষ্টি করতে পেরেছেন।
যাহারা তাঁর অন্তরঙ্গ ছিল তাদের মনের মধ্যে কতকগুলি গোপন ব্যথা রয়ে গেল। আপনি সে গোপন ব্যথার মধ্যে কয়েকটির উল্লেখ করে শুধু যে সত্য প্রকাশ করবার সহায়তা করেছেন তা’ নয়—আপনি আমাদের মনের বোঝাটাও হাল্কা করেছেন। বাস্তবিক “পরাধীন দেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ এই যে মুক্তি-সংগ্রামে বিদেশীয়দের অপেক্ষা দেশের লোকদের সঙ্গেই মানুষকে লড়াই করতে হয় বেশী।” এই উক্তির নিষ্ঠুর সত্যতা—তার অনুগ্রহ, কর্ম্মীরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে এবং এখনও বুঝছে।
১৫৮