পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 মা ও বাবা কোথায় ও কেমন আছেন? আমি অনেকদিন হল তাঁদের কোন পত্র পাই নাই। ছোট মামার পরীক্ষার ফল কি বেরিয়েছে? তিনি ও ছোট দাদা কবে ফিরবেন? মীরার টায়ফয়েডের কথা আমি ইতিপূর্ব্বে শুনি নাই—দিদির পত্রে জানলাম। মীরা এখন কেমন আছে? ন’দাদা এখন কি চাকরী করছেন? চাকরী কি পাকা না অস্থায়ী? লালমামাবাবুর প্রাক্‌টিশ কেমন হচ্ছে? অন্যান্য মামাবাবুরা কোথায় ও কেমন আছেন? লালমামাবাবুর শরীর কেমন? গোপালী কোথায় আছে এখন? সে আমায় পত্র লিখতে পারে। দিদি কি ওখানেই থাকবেন, না কটকে যাবেন? পলির শরীর এখন কি রকম? সেজদার কারখানার জিনিষপত্র কি বাজারে বেরিয়েছে?

 * * *

শ্রীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত

১০৫
মান্দালয় জেল (১৯২৬)

প্রিয়বরেষু,—

 আপনার ২।৫।২৬ তারিখের পত্র পাইয়া আমি আনন্দিত হইয়াছি। উত্তর দিতে বিলম্ব হইল বলিয়া ক্ষমা করিবেন—আমি এখন অনেক বিষয়ে নিজের মালিক নহি—তা ত বুঝিতেই পারিতেছেন। আপনার পত্রে ভবানীপুরের সকল সমাচার অবগত হইয়া একসঙ্গে সুখী ও দুঃখিত না হইয়া পারি নাই। আজ বাঙ্গলার সর্ব্বত্রই কেবল দলাদলি ও ঝগড়া এবং যেখানে কাজকর্ম্ম যত কম, সেখানে ঝগড়া তত বেশী। ভবানীপুরের কাজকর্ম্ম কিছু হইতেছে, তাই ঝগড়া-বিবাদ অপেক্ষাকৃত কম—তবুও যা আছে তাহাতে নিরপেক্ষ লোক ম্রিয়মাণ না হইয়া পারে নাই। আমি শুধু এই কথা ভাবি—ঝগড়া করিবার জন্য এত

২৫১