করিতে পারি নাই—কলিকাতায় গিয়া স্থির করিব। তবে বোধ হয় প্রেসীডেন্সীতে পড়া হইবে না— কারণ আমি যাহা পড়িতে চাই—সেখানে তার সুবিধা হইবে না। আমার প্রণাম জানিবেন। ইতি—
সুভাষ
পরবর্ত্তী চারখানি পত্র শরৎচন্দ্র বসুকে লিখিত
২২শে আগষ্ট ১৯১২
পরম পূজনীয় মেজদাদা:
কিছুটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনাকে এই পত্র লিখিতেছি, যদিও জানি যাইবার প্রস্তুতিতে আপনি ব্যস্ত ও উদ্বিগ্ন থাকিবেন! কিন্তু এই পত্রখানিই আপনি ভারতে থাকাকালে আমার শেষ পত্র, শুধু এই ভাবিয়াই কলম ধরিলাম!
শুধু একটি উদ্দেশ্য একটি অনুরোধ জানাইবার জন্য এই চিঠি লিখিতেছি; তাহা এই: আপনি বিলাত যাত্রার পথে যে সমস্ত বিভিন্ন জিনিষ দেখিবেন আমাকে তাহার বর্ণনা দিয়া আনন্দ ও শিক্ষা দান করিবেন এবং বৈদেশিক ও অভিনব পরিবেশে আপনার অনুভূতির আস্বাদ আমাকে দিবেন।
জাহাজ বোম্বাই বন্দর ত্যাগ করিয়া যখন তীর হইতে দূরে আরও দূরে সরিয়া যাইবে ও যখন বনরেখা এমনকি স্বদেশের শেষ নীল তটরেখাটি পর্য্যন্ত একখণ্ড মেঘের ন্যায় দিগন্তে মিলাইয়া যাইবে, তখন উত্তুঙ্গ তরঙ্গরজি যাহা ভেদ করিয়া আপনার তরী চলিয়াছে—উপরে নীল আকাশ ও নীচে অসীম জলরাশি—প্রকৃতির এই বিভিন্ন রূপের দিকে চাহিয়া আপনার মনে কোন্ বিচিত্র ভাবের উদয় হইবে? ইহা দেখিয়া কি আপনার আরভিং-এর সেই পংক্তিগুলি মনে পড়িবে,—
২৮