পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 জিজ্ঞাসা করিলেন—অদ্বৈতজ্ঞান “ব্রহ্ম সত্য জগন্মিথ্যা” একটি Theory কিনা—বলিলাম যতক্ষণ মুখে বলছি ততক্ষণ Theory কিন্তু realise করিলে সত্য এবং realise করা যায়। যাহারা একথা বলে গেছেন তাঁহারা realise করেছিলেন এবং বলে গেছেন আমরা realise করিতে পারি। জিজ্ঞাসা করিলেন “কারা করেছিলেন এবং প্রমাণ কি?” বলিলাম —“ঋষিরা” প্রমাণ “বেদাহমিতি” এই বলিয়া শ্লোকটা quote করিলাম। তারপর বলিলেন “এক সময়ে কলিকাতায় মহর্ষি দেবেন্দ্র, কেশবচন্দ্র ও পরমহংসদেব ছিলেন—যে যে রকম পেরেছিলেন সেই রকম হয়েছিলেন।” আমি বলিলাম বিবেকানন্দের ideal হচ্ছে আমার ideal।

 শেষে বলিলেন আচ্ছা যখন তোমার higher call আসিবে তখন আমরা দেখিব। আমি এতদিন বাবাকে actively oppose করি নাই—Passively I have won the victory. এখন তিনি জোর করিয়া আমাকে কিছু বলিতে পাবেন না। এবং next time চলিয়া গেলে বোধ হয় আর ফিরাইবার চেষ্টা ও সঙ্কল্প ত্যাগ করিবেন।

 যাহা হউক আসাতে ভাল হইয়াছে এখন দেখিতেছি!

 মা fanatic, বলেন—আর যদি ও যায় আমি আর থাকিব না— সঙ্গে ২ যাইব আর বাড়ীতে ফিরিব না। তাঁকে বুঝিবার চেষ্টা সফল হইবে না বলিয়া বোধ হয়। বাবাকে দেখিলাম খুব reasonable.

 বেশ ভাল আছি। তুমি কেমন আছ লিখিবে।

 তোমার—

বেণীবাবুর বিষয় সকলের ভাল ধারণা—এবং তাহাকে শ্রদ্ধা করেন। বেণীবাবু বেশী কিছু বলেন নাই—সন্ন্যাসীর কথা বলিয়াছেন এবং আমার কৃচ্ছসাধনে তোমাকে মোটেই জড়িত করেন নাই। এখানে আবার মানুষটাকে জানা যায়।

৪১