পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কবিতার রস গ্রহণে অসমর্থ হইয়া আমি তাহার বহিরাবরণ লইয়া টানাটানি করিয়াছি, যাহারা স্থূলদৃষ্টি ও রসবর্জ্জিত তাহারা দেখে শুধু বাল্মীকির বল্মীক, মধুসূদনের অট্টহাস্যময়ী ভগ্নপদী কবিতা, রবীন্দ্রনাথের “কলকেত্তী” ভাষা ও অবনীন্দ্রনাথের হাড়কণ্ঠা। সুতরাং সাদৃশ পাঠক যে তােমার ভাবময়ী কবিতার ছন্দোদোষ শুধু খুঁজিয়া বেড়াইবে।...

 তবে যদি কোন অপরাধ করিয়া থাকি তাহা হইলে দায়ী আমার স্থূলবুদ্ধি বিচারশক্তি এবং want of appreciative faculty এবং এ মানসিক দৈন্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।

 আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র এ ধাম ত্যাগ করেছেন। তাঁহার সঙ্গে কিছু ২ কথা হয়েছে—পরে বলিব।

 প্রবন্ধ লেখা বা নিজের জীবন সম্বন্ধে কাহারও মতামত গ্রাহ্য করিলে ত চলিবে না। নিজেব যাহা বলার আছে—বলে যাবে—তাতে কার কি?

 আমি যে প্রবন্ধ দিয়েছি—তাহা কেন দিয়াছি এবং কি spirit-এ দিয়াছি, তাহা না বুঝিতে পারিলে প্রবন্ধটি অর্থহীন এবং কেহ ২ যে সেইরূপ মনে করিবে তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি? কিন্তু তাহাতে কি এসে যায়?

 একজন এইরূপ সমাজে বা organisation-এ হয়ত খুব উচ্চ স্থান অধিকার করিবে কিন্তু অন্য প্রকার—দলে হয়ত তার স্থান সব চেয়ে নীচে—আমি একথা বেশ বুঝিতেছি। যার যে রকম idea এবং মানুষের Estimate তাহার বিচার তদ্রূপ।

 * * *

 সুতরাং কাহারও appreciation or non-appreciation-এ কি আসিয়া যায়—হ্যাঁ আপনার প্রদীপ আপনি হও—ঠিক কথা বলেছ।

ইতি— 

বুদ্ধিহীন দীন 

পাঠক। 

৬২