পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रi८९द्भ नशन् হস্তগত হলে কোন শ্রেণীর স্বাৰ্থ পুরোপুরি রক্ষণ করা ? হবে ? দেশে উপনিবেশের মত স্বায়ত্ত্ব-শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ? সরকারী চাকরীগুলো মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হস্তগত হবে ; আইনকানুন করবার ক্ষমতা দেশের ধনী আর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ' হাতে আসবে ; দেশে কল-কারখানা আর ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অর্থবলও বাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন এই দেশের কতজন লোক এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীভুক্ত ? দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বাধীনতা লাভ মানে কি সারা দেশের স্বাধীনতা লাভ ? তোমরা হয়ত বলবে-“কেন ? যাদের হাতে প্ৰভুত্ব এসে পড়বে, তারা সকলকে সেই স্বাধীনতার, সেই প্ৰভুত্বের, সেই অর্থের ভাগ দেবে!” আমরা বলি-“তা যে দেবে, তার প্রমাণ কই ? আজকাল যখন স্বাধীনতার কথা ওঠে, তখন স্বাধীনতার খাতিরে জমিদার কি নিজেদের জমিদারী ছাড়তে চায় ? দেশে যে-সমস্ত বড় বড় কলওয়ালা আছে, তারা কি স্বাধীনতার খাতিরে নিজেদের কুলি-মজুরদের মাইনে বাড়িয়ে দিতে চায় ? দেশের যত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জোতদার বা পত্তনিদার কি নিরশ্ন প্রজার খাতিরে নিজেদের স্বাৰ্থ ছাড়তে চায় ? এখন চায় না; তা আবার নিজেদের হাতে প্ৰভুত্ব এলে, ত আরও চাইবে না। ধনী বা মধ্যবিত্ত শ্রেণী প্রকৃতপক্ষে যা চায়, তা হচ্চে এই যে, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক পরাধীনতা ঘুচে’ যাক ; কিন্তু দেশের জনসাধারণের উপর তাদের যে আর্থিক বা সামাজিক প্ৰতিপত্তি আছে, তা ষোল আনা বজায় থাক। আজও কংগ্রেসের কৰ্ত্তারাষ্ট্র