পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S e o পথের সন্ধান দি, সে-তেত্রিশ কোটীর স্বাৰ্থ এক রকম নয়। দেশে এমন অনেক শ্রেণীর লোক আছে যারা এই বিদেশী আমলাতন্ত্রের আশ্রয়ে বেড়ে উঠেছে, যাদের আর্থিক স্বাৰ্থ এই বিদেশী আমলাতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দেশের বাকি লোকের স্বাধীনতার জন্যে নিজেদের স্বাৰ্থ জলাঞ্জলি দেবে, সে আশা করাই ভুল। তারপর ৭ দেশে এমন লোকেরও অভাব নেই। যারা ইচ্ছাসত্ত্বেও আমলাতন্ত্রের সঙ্গে সম্বন্ধ কাটাতে পারে না । সুতরাং শাসনযন্ত্র চালাবার জন্যে যত লোকের দরকার ততজন লোকের অভাব এদেশে কখনো হবে না । দেশের সমস্ত লোকের সর কারী সম্পর্ক ত্যাগ করার উপর যে-কৰ্ম্মপন্থার সাফল্য নির্ভর করে সে-কৰ্ম্মপন্থা ব্যৰ্থ হবেই। যাদের স্বাৰ্থ আমলাতন্ত্রের স্বার্থের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত নয়, তারাই অসহযোগিনীতি গ্ৰহণ করতে পারে ; কিন্তু তাদের যদি অসহযোগিনীতি সফল করতে হয় তাহলে সুধু স্কুল-কলেজ, আদালত বা ব্যবস্থাপক সভা বর্জনের দিকে দৃষ্টি রাখলেই চলবে না। এগুলোর উপর নির্ভর করে আমলাতন্ত্র বেঁচে নেই, এগুলো যদি ষোল আনা বর্জন করা যায় তা’হলেও আমলাতন্ত্র ভেঙ্গে পড়বে না । এই অসহযোগিনীতির মধ্যে একমাত্র জিনিষ যা আমলাতন্ত্রকে ভাঙ্গতে পারে তা খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণতঃ যে-শ্রেণীর লোক রাষ্ট্রনীতির চর্চা করে থাকেন তারা সবাই যদি খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করেন, তা’হলেও আমলাতন্ত্রের বিশাল পকেট শূন্য হবে না। দেশের জনসাধারণের অধিকাংশ