পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বদেশী স্বরাজ

উঠবে। সেই ডেমক্রাশীর ষোড়শোপচারে পূজো দেবার জন্যে চাই একটা পার্লামেণ্ট, আর যদি recall আর referendumএর ব্যবস্থা করতে পার, ত একেবারে সোনায় সোহাগা! আজন্মকাল রাশি রাশি রাজনীতির পুঁথি ঘেঁটে বাবুভায়ারা এই জ্ঞানটুকু সঞ্চয় করে' আমাদের উপহার দিচ্ছেন।

 অথচ ফরাসী-বিপ্লব থেকে আরম্ভ করে' আজ পর্য্যন্ত যদি কোনো জিনিষের ব্যর্থতা প্রমাণ হয়ে থাকে ত এই ফাঁদ পেতে স্বাধীনতা ধরবার চেষ্টার। সেকালে বিদ্যাসুন্দরের মালিনী মাসী বলেছিল, “আকাশে পাতিয়া ফাঁদ, ধরে' দিতে পারি চাঁদ। “ মালিনী মাসীর অনেক রকম বিদ্যের মধ্যে হয়ত চাঁদধরা বিদ্যেটাও ছিল; কিন্তু ফাঁদ পেতে স্বাধীনতা ধরতে বললে মালিনী মাসীকেও হার মানতে হতো!

 দেখনা একবার তামাসা! ইউরোপের বড় বড় পণ্ডিতেরা মাথা ঘামিয়ে ঠিক করলেন যে, সবাইকে যদি ভোট দেবার ক্ষমতা দেওয়া যায় তা'হলে সবাই সমান হয়ে যাবে। Vox populi, Vox dei প্রভৃতি গালভরা কথাগুলো বড় বড় হরপে ছেপে লোকের চোখের সামনে জল্ জ্বল্ করতে লাগল। কিন্তু পোড়া দুঃখ ঘুচ্‌ল না। দেখা গেল যে সবাইকার ভোট দেওয়া সত্ত্বেও জনকত ওস্তাদ অপরের মাথায় চাঁটি মেরে বেশ দুপয়সা গুছিয়ে নিয়েছে, আর টাকার জোরে যা খুসি তাই করে’ বেড়াচ্ছে। যাদের টাকা আছে তারাই স্বাধীন, আর বাকি সবাই তাদের গোলাম। পার্লামেণ্ট ফার্লামেণ্ট যা কিছু বল, সব ঐ টাকার