পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

„ა ი V) পথের সন্ধান বাবুদের বা তঁদের বংশধরেরা মনে মনে ভারী চটে” থাকবেন ; "আর সেই চটচটির ফলে দেশের একতা নষ্ট হবে; আর সে-একতা নষ্ট হলেই অহিংসভাবে স্বরাজ স্থাপনের - experimentটা ব্যর্থ श्व यiद ।” তেত্ৰিশ কোটী লোকের মধ্যে যে-দেশে ত্ৰিশ কোটী লোক চাষা আর মজুর, সেখানকার স্বদেশ-প্ৰেমিক বীরের দেশের লোককে উপদেশ দিচ্ছেন- “আগে জমিদার আর কলওয়ালারা শ্ৰদ্ধা আর সমবেদনা সম্পন্ন হয়ে স্বেচ্ছায় তাদের নিজেদের স্বাের্থ ছাডুন, তারপর “তোমরা নিজেদের দুঃখ ঘোচাবার চেষ্টা কোরো, ঐ সমস্ত গুণ “তঁাদের মধ্যে আসবার আগে যদি তোমরা মরে’ পচে’ যাও, তা আর করবে। কি! কিন্তু খুব হাঁসিয়ার ! দেখো যেন পেটের জালায় বা অপমান অত্যাচারে তোমাদের মাথায় খুন না চাপে ; তা’হলে <দেশের এত সাধের আধ্যাত্মিকতা একদম নষ্ট হয়ে যাবে।” দেশের আড়াইজন জমিদার বা কালওয়ালার মনে পাছে বিদ্বেষের বীজ থেকে যায়। এই ভয়ে ধারা লক্ষ লক্ষ লোকের দুঃখ কষ্ট লাঞ্ছনা অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বজায় রাখতে চান, তঁদের আধ্যাত্মিকতা আর প্রেমের বালাই নিয়ে মরতে ইচ্ছে হয়। তাদের প্ৰেম জিনিষটা এত এক তরফা হচ্চে কেন, তা তেঁরা কখনও ভেবে দেখেছেন কি ? যে মনোবৃত্তির ফলে for tiivis-veti Law vrts Orderএর দোহাই দেন, যার ফলে মাঝে মাঝে বিলেতের পালামেণ্টে ভারতের জন্যে পঙ্গু Sympathyর ফোয়ারা ছোটে, আধ্যাত্মিকতার “মুখস পরে” সেই জিনিষই যে তোমাদের স্বাধীনতার চেষ্টা ব্যর্থ করে”