পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পথের সন্ধান

থলির ভেতর। তখন আবার হৈ হৈ পড়ে' গেল। টাকার যাতে সমান সমান ভাগ-বাঁটরা হয় তার ব্যবস্থা কর। এই চেষ্টার ফলে জন্মেছে সমাজতন্ত্র (Socialism)। কিন্তু সমাজতন্ত্র যেখানে প্রবল সেখানে আইন-কানুনের চাপে ব্যক্তিগত স্বাধীনতাটা একেবারে মারা যাবার দাখিল হয়েছে। স্বাধীনতা বাঁচাতে গেলে সাম্য থাকে না, আর সাম্য বাঁচাতে গেলে স্বাধীনতা মারা যায়। এই এখন ইউরোপের সমস্যা। রুশিয়ার কম্যুনিষ্টরা বলছে, সবাইকে গায়ে-গতরে সমান খাটাও, আর সমান ভাবে খেতে- পরতে দাও তা হলেই সব সমান হয়ে যাবে। মানুষ যদি খাবার আর খাটবার একটা যন্ত্র হতো, তাহলে এ ব্যবস্থা চলতে পারতো, কিন্তু পেট আর হাত-পা ছাড়া মানুষ তো আরও কিছু? সেটুকুর ব্যবস্থা কি হবে?

 এই সব গতিক-গতাক দেখে একদল বলছে—সব শাসন-মাসন ভেঙ্গে ফেলে দাও। আইন-কানুন পুড়িয়ে দিয়ে মানুষকে অবাধে ছেড়ে দাও–দেখ যদি তা'হলে কিছু হয়!

 এই তো ইউরোপের অবস্থা। মোট কথা, মানুষ যে কি জিনিষ তা তারা জানে না; তাই সেখানে বজ্র আঁটন আর ফস্কা গেরো। স্বাধীনতার নাম দিয়ে যদি এই সব শাসনপ্রণালী আমাদের দেশে আমদানি কর তা'হলে জাতও যাবে, পেটও ভরবে না।

 তাই আমরা চাই, একেবারে খাঁটি স্বদেশী স্বরাজ—মানুষকে আইনের বাঁধনে বা শাসনের পেষণে এক করা নয়। সবাই