তাই তাদের সাহায্য লাভ করবার চেষ্টা অল্পবিস্তর আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই সহানুভূতি যদি কার্য্যোদ্ধারের উদ্দেশ্যেই জন্মে থাকে, এর মূলে যদি গভীর সমবেদনা না থাকে, তা'হলে আমাদের দেশের স্বরাজ শুধু আংশিক হয়েই থাকবে, আর আমাদের হাতের অস্ত্র একদিন ঘুরে এসে আমাদের মাথায় পড়াও বিচিত্র নয়।
কংগ্রেসে স্বরাজের আদর্শ আর স্বরাজ লাভের প্রণালী নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে; কিন্তু আমাদের মনে হয় যে ইংরেজের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ কতটুকু থাকা উচিত বা উচিত নয়; অহিংসা- মন্ত্রে কার্য্যোদ্ধার হবে, না অহিংসা-নীতি ভবিষ্যতে কখনও ত্যাগ করতে হবে—এসব প্রশ্ন মীমাংসা করবার আগে আমাদের মীমাংসা করতে হবে যে সমগ্র দেশকে আমরা কতটুকু আপনাদের আয়ত্বের মধ্যে আনতে পেরেছি, দেশের জন সাধারণের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ আর স্বাধীনতাস্পৃহা কতটুকু জাগিয়ে তুলতে পেরেছি। স্বরাজ যে স্নুধু তোমার আমার বা জনকত ভদ্রলোকের সুবিধার জন্য নয়, ভারতের প্রত্যেক নরনারীর পূর্ণ মনুষ্যত্ব বিকাশের পক্ষে যে তা একান্ত প্রয়োজনীয় একথা যদি আমরা নিজেদের বর্ত্তমান আচরণ দিয়ে বুঝতে দিতে না পারি তা'হলে স্বরাজ ফাঁকা কথাতেই পর্য্যবসিত হবে।
আজ যারা অন্যায় আইনের প্রতিবাদ করে' কারাযন্ত্রণা বরণ করে' নিচ্ছেন তাঁরা আমাদের নমস্য, তাঁদের স্বার্থত্যাগ আমাদের অনুকরণীয়—কিন্তু যারা শুধু জেলে গিয়েই তৃপ্ত নন্,