যেমন প্রকৃতি, যার যেমন সামর্থ্য তার তেমনি অধিকার, তার তেমনি পথ।
রাজনীতির সাধনায় সেই অধিকারভেদটুকু মানে নিলে অনেক গোলমাল চুকে যায়। ভারতের আধ্যাত্মিক সাধনায় এই অধিকারভেদ একেবারে গোড়ার কথা। যাঁরা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সাধনাকে আধ্যাত্মিক সাধনার অঙ্গ করে তুলতে চান তাঁদের এই অধিকারভেদ স্বীকার করতেই হবে।
আধ্যাত্মিক সাধনার আদর্শ যেমন মুক্তি, রাজনৈতিক সাধনার আদর্শ তেমনি স্বরাজ। যারা সেই স্বরাজের আদর্শ মানে না, তারা ভারতে জন্মালেও ভারত তাদের নিজের দেশ নয়। রাজনৈতিক সাধনার মধ্যে তাদের কথা না ধরলেও চলে। কিন্তু স্বরাজ যাদের আদর্শ তারা যে সবাই এক রাস্তা ধরে’ চলবে, সেটা আশা করাই ভুল। প্রকৃতি আর বুদ্ধি অনুসারে লোক ভিন্ন পথ ধরে’ চলবেই।
আমাদের মনে হয় যে, এই স্বরাজের আদর্শ স্বীকার করা ছাড়া কংগ্রেসের আর কোনো creed থাকা উচিত নয়; কর্ম্মপন্থা নিয়ে মতভেদ আছে বলে লোকে যে কংগ্রেসের সভ্য হতে পারবে না, এটা দেশের লোকের উপর অত্যাচার। যে স্বরাজের আদর্শ স্বীকার করে সেই কংগ্রেসের সভ্য হতে পারবে, এই ব্যবস্থা থাকা উচিত।
কর্ম্মপন্থা নিয়ে মতভেদ চিরদিনই থাকবে—কেননা বুদ্ধিও সকলের এক রকম নয়। এত বড় একটা দেশে সব রকম কর্ম্ম-