পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবের ঘরে চুরি ৩১ পাওয়া যাবে। কিন্তু তা হয়নি ; মুণ-চিনি-কাপড়ের বস্তা ফুড়ে, স্বরাজ-আন্দোলনের রুদ্ৰমূৰ্ত্তি দেখা দিয়েছিল। বারদোলির অনুশাসনের পর থেকে স্বরাজ-আন্দোলনটি ক্রমে স্বদেশী-আন্দোলন হয়ে দাড়াচ্ছে। “চুপ চাপ করে চরকা কাট, খন্দর পর, মন্দবিক্ৰী বন্ধ কর, ছুৎ-মার্গ ত্যাগ কর, তাহলেই সব দুঃখ ঘুচে’ যাবে।” এতে যে দেশের খানিকটা আর্থিক আর নৈতিক উন্নতি হবে তাতে কোনো ভুল নেই ; কিন্তু বুকের উপর যে জগদ্দল পাথর চাপান রয়েছে তার ব্যবস্থা কি করবে। ” ল্যাঙ্কাশায়ারের পেটে খুব জোরে এক ঘা দিতে পারলে কর্তারা খানিকটা খোঁচাখুচি করে? শেষে হয়ত একটু রিফা করতে পারেন ; কিন্তু সে রফায় তা আমাদের পেট ভরবে না। আমরা ত তা চাই না ; আমরা যে একেবারে ষোল আনা স্বাধীনতা চাই । তার আয়োজন ত কিছু দেখতে পাচ্ছিনে। ] জানি এসব কথা শুনলে তোমাদের রাগ হয় ; কিন্তু সত্যি। সত্যি একবার মনটাকে খুঁজে দেখ দেখি, ভাবের ঋগ্নৈ কোথাও। লুকোচুরি আছে কি না। দেশের অন্নবস্ত্রের সংস্থান কণ্ঠস্বাস্থ্যের উন্নতি কর, শিক্ষার ব্যবস্থা করা-এতো খুব ভালো কথা। কিন্তু এগুলো আগে সেরে নিয়ে তারপর ‘রণং দেহি’ বলে’ ভাল ঠুকে দাড়াবে এ ব্যবস্থার মানে কি ? যে সমস্ত স্বাধীন দেশে রাজশক্তি প্রজাদের সহায়, সেখানকার লোকেও অন্নবস্ত্রের সংস্থান করতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে ; আর আমাদের এই পরাধীন দেশে, যেখানে অর্থবলের একান্ত অভাব, যেখানে রাজশক্তি প্রজাদের,