পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 এমন झुएब्नl ? 8S বক্তৃতা শোনবার পর জিজ্ঞেস করলে-“বাবা ঠাকুর, তোমরা তা, স্বরাজ পাবে, কিন্তু আমাদের কি লাভ হবে ? আমাদের সেই সকাল থেকে সন্ধ্যে পৰ্যন্ত লাঙ্গল কঁাধে করে ঘুরতে হবে; আর. খাজনা-টেক্স দিতে না পারলেই জমিদারের নায়েব-গোমস্তার হাতে, ঠ্যাঙ্গানি খেতে হবে। তার উপর দারোগীবাবুর নজর ত আছেই। তোমরা রাজ্য চালালেই আমাদের এ সব দুঃখ তা ঘুচুবে: না !” বন্ধু বললে-“না হে কৰ্ত্তা, তোমাদের এ সব দুঃখ আর থাকবে না।” বুড়ো উত্তর দিলে-“ঠাকুর, তার লক্ষণ ত কিছু দেখিানে । জমিদারও তোমরা, দারোগও তোমরা ; আমাদের জন্তে এ পৰ্য্যন্ত ত তোমাদের কখনো মাথা ঘামাতে দেখিনি । স্বরাজ পেলেই যে তোমরা বদলে যাবে তার মানে কি ?” ভাববার কথা বটে ! আমরাই জমিদার হয়ে রকম-বেরকমে, তাদের চুষে খেয়েছি। আমরাই দারোগ হয়ে তাদের ভিটেয়া ঘুঘু চরিয়েছি, আমরাই সমাজের মাতব্বর হয়ে ব্যবস্থা দিয়েছি যে, বা পায়ের কড়ে আঙ্গুল দিয়ে তাদের স্পর্শ করলেও গঙ্গাজলে তিন শ তেত্ৰিশটা ডুব দিয়ে তবে শুদ্ধ হতে হবে। আজ হঠাৎ, তাদের কাছে গিয়ে আধ্যাত্মিক স্বরাজের মহিমা ঘোষণা করতে. . গেলে তারা আমাদের কথা শুনবে কেন ? এ যাবৎকাল কংগ্রেসের তরফ থেকে দশ-বিশ হাজার আবেদননিবেদন করা হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে এই গরীবদের কথা বড় | একটা নেই। তার কারণ সুধু এই যে এতদিন ধারা কংগ্রেস চালিয়ে এসেছেন তারা সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক। র্তারা,