পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8之 পথের সন্ধান “নিজেদের সুখ-দুঃখের ভাবনাতেই মাসগুল । কোনোরকম করে। ইংরেজকে হটিয়ে দিয়ে নিজেদের হাতে ক্ষমতা নিতে পারলেই দেশের একটা গতি হয়ে যাবে, এই তাদের অন্তরের বিশ্বাস। কুলি মজুর “চাষীদের দিকে চাইবার তাদের সময়ও ছিল না, প্ৰবৃত্তিও ছিল না। জমিদারদের কথা ছেড়েই দি, কেননা ইংরেজের আইনের গুণেই তাদের লক্ষ্মীশ্ৰী হয়েছে, তঁরা ইংরেজেরই হাতে-গড়া জীব। লাট কর্ণওয়ালীস জমিদারীর চিরস্থায়ী বন্দোবন্ত না করে গেলে । আজ জমিদার বাবুদের বংশধরদের ট্রামগাড়ির কনডাক্টারি করে” “খেতে হতো । এখনও পৰ্য্যন্ত অনেক জমিদার প্রজাদের লেখাপড়া শেখাবার নাম শুনলে ভয় পান-পাছে প্ৰজারা একটু সেয়ানা হয়ে উঠলে তাদের জব্দ করবার সুবিধা না হয় ! জমিদার ছাড়া র্যারা কংগ্রেস করে” দেশ উদ্ধার করতে “গিয়েছিলেন। তঁদের মধ্যে অধিকাংশই উকিল ব্যারিষ্টার আর জনকত বড় বড় ব্যবসাদার। অবাধবাণিজ্য হলে এদেশের শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষতি হয়, তাই তারা বিদেশী-পণ্যের উপর মাশুল বসাতে চেয়েছিলেন। বিদেশী এসে এদেশের বড় বড় সরকারী চাকরী পাচ্ছে, তাই তারা সমস্ত সরকারী চাকরীতে দেশের বড় বড় লোক ভৰ্ত্তি করতে চাইতেন। এ খুব ভালো কথা ; কিন্তু তারা দেশের স্বায়ত্ব-শাসন বলতে নিজেদের অর্থাৎ এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আৰ্থিক সুবিধার জন্যে যা-কিছু করা দরকার তা ছাড়া আর বড় --বেশী কিছু বুঝতেন না। . . দেশের ধারা জনসাধারণ, যারা চাষ করে আর পেটে হাত