পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন এমন হলো ? ? ? ৪৩ ৷ দিয়ে শুকিয়ে মরে তারা তখন কংগ্রেসের বড় একটা ধার ধারতো। না। তার দূর থেকে দেখতে যে বাবুর হাত-পা ছুড়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন, আর তঁদের মুখে ফাঁড় ফড়ি করে” ইংরেজীতে খাই ফুটছে। তারা ভাবতে কংগ্ৰেসটা বাবুদের একটা আড়া দেবার জায়গা। আজকাল হাওয়া বদলেছে। পেটের জ্বালায় দেশের চাষাভূষা কুলি-মজুর সবাই বুঝেছে যে, দেশের এ রকম অবস্থা থাকলে আর চলবে না ; একটা কিছু ওলট-পালট না হয়ে গেলে আর এদেশ বঁচিবে না । তারা যখন স্বরাজের কথা শুনে আমাদের দলে এসে জুটেছিল তখন ভেবেছিল যে তাদের অল্পবন্ত্রের দুঃখটা - ঘোচাবার ব্যবস্থা আমরা আগে করব। তারা যে “গান্ধী মহারাজের জয়’ বলে’ চীৎকার করেছিল, ‘’ ৷ সেটা সুধু স্বরাজের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে নয়; তার ভেতর পেটের জালাও অনেকখানি ছিল । তারা ভেবেছিল। আমরা তাদের খাজনা-ট্যাক্সের বোঝা একটু হালকা করে” দিতে পারবো, তাদের অত্যাচার অবিচারের হাত থেকে বাঁচাবো। ধারা পাড়াগারে গিয়ে অশিক্ষিত লোকদের সঙ্গে মেশবার সুবিধা পেয়েছেন, তাদের | জিজ্ঞাসা করে দেখ, তারা ঐ কথাই বলবেন। ঐ এক আশায় সাঁওতালরা মদ ছেড়েছিল, কুলিমজুরেরা জেলে ছুটেছিল, ঢাষা- ? আর আমরা কি কয়লুম ? তারা যখন কাপড়ের অভাব । জানালে তখন আমরা বললুম-ভূলোর চাষ কর, চরকা কাট, , খন্দর পর। বেশ কথা, তারা তাই আরম্ভ করে দিলে। তারপর /