পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8t পথের সন্ধান “আমাদের স্বধৰ্ম্ম যখন ভিন্ন, তখন ইউরোপের অনুষ্ঠানপ্ৰতিষ্ঠানের অনুকরণ আমাদের দেশে খাড়া করে” তুললে তা দিয়ে আমাদের আদর্শ ফুটে উঠবে না। আমাদের অনুষ্ঠান প্ৰতিষ্ঠান আমাদের নিজেদের ভাবের উপযোগী হওয়া চাই । তোমরা হয়ত বলবে, আগে দেশটা ত স্বাধীন হোক, তারপর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা ভাবা যাবে। কথাটা শুনতে বেশ, কিন্তু ওটা ফাক কথা । আমরা ভদ্রলোকের দল আমাদের সমাজের ঘাড়ে এমনি জোরসে চেপে বসে’ আছি যে, সমাজ প্ৰায় “নিম্পন্দ হয়ে পড়েছে। এখন যদি কোনো গতিকে বিদেশীর হাত থেকে রক্ষা পাই তা’হলে স্বেচ্ছায় যে নিজেদের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে । দেশের কুলি-মজুর, চাষা-ভুষোদের দুঃখ দূর করবার জন্যে উঠে-পড়ে লাগবে, তা মনে করবার ত কারণ দেখি না । আমরাই না জমিদার ? আমরাই না পুলিশের দারোগ ? শেষে হয়ত একদিন ঐ চাষা-ভুষোদের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই * করতে হবে। আর তা ছাড়া মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এমন সামর্থ্য নেই যে জন‘সাধারণের সাহায্য ছাড়া দেশকে স্বাধীন করে। আমরা যদি “আজি স্বাধীন হতে চাই ত সকলকে আমাদের সমান স্বাধীনতা দিতে হবে। সকলে যদি স্বাধীনতার অশায় উদ্বুদ্ধ হয়ে না। ওঠে, দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে যদি আমরা প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাধীনতা ঘোষণা না করি তা’হলে দেশের পরাধীনতা ঘুচুবে না। দেশবন্ধু সেই পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শের দিকে লক্ষ্য করেই