পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

co পথের সন্ধান একদল বলছেন এই সমস্ত কাজের সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলে যাওয়ার ব্যবস্থা কর। সেইখানে গিয়ে হট্টগোল বাধাতে পারলে কৰ্ত্তারা আমাদের সঙ্গে একটা রিফা করতে বাধ্য হবে, আর রিফা যদি না-ও করে আমরা সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স লাগিয়ে দেবো । কিন্তু আমরা লাগিয়ে দেবো বললেই কি সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স লেগে যাবে ? আমরা নাকি কাউন্সিলে গিয়ে বলবো-খেলাফতের একটা ব্যবস্থা করো, পাঞ্জাবের ডায়াৱী আমলের অত্যাচারের একটা সুবিচার করে, আর আমাদের স্বরাজ দাও । খেলাফতের ব্যবস্থার জন্যে কাউন্সিলে যাবার বিশেষ কোনো স্বার্থকতা আছে বলে’ মনে হয় না, আর তা ছাড়া কামাল পাশা। লাঠির চোটে তার যা হয় একটা ব্যবস্থা করে” নিচে । কামাল পাশাকে সাহায্য করতে পারলেই খেলাফতের সাহায্য করা হয় । ‘ডায়ারী” আমলের পাঞ্জাবী দুঃখ নিয়ে এখনও নাড়াচাড়া করা সুধু একটা বাধা বুলি আওড়ান। তারপরে অনেক দুঃখ পাঞ্জাবের উপর দিয়ে আর দেশের অন্যান্য জায়গার উপর দিয়ে চলে” গেছে । দেশ স্বাধীন না হলেও সমস্ত দুঃখের শাস্তি হয় না। সুতরাং আসল কথা হচ্চে স্বরাজ পাওয়া, আর আপাততঃ ঠিক হয়েছে যে সমস্ত খাজনাট্যাক্স বন্ধ করে” দিয়ে শাসনযন্ত্র অচল করে” দেওয়া স্বরাজ পাবার উপায় । কিন্তু দু-দশজন লেখাপড়াজানা ভদ্রলোক মিলে খাজনাট্যাক্স বন্ধ করলে ত রাজ্য অচল হয়ে পড়বে না ; দেশের সকলকে মিলে, অন্ততঃ অধিকাংশকে মিলে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে” দিয়ে