পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামঞ্জস্য bሥ¢ গ্রামে খন্দর-সমিতি স্থাপন করচেন, তা থেকে আইন-ভঙ্গ হবে কি করে’, তা বোঝা যায় না । কংগ্রেসের নেতাদের কথামত দেশের লোক কি চক্ষু বুজে বুলে’ পড়বে ? দেখে-শুনে মনে হয় দেশের আইন অমান্য আরম্ভ করা পুরাণে দলের কৰ্ম্ম নয়। তঁরা আরও কিছুদিন গ্ৰাম্য-সমিতি গঠন করবার একটা ব্যর্থ চেষ্টা করে” শেষে নিজীব হয়ে পড়বেন। তারপর নূতন দলের কথা। নূতন দলের কাৰ্য্যপ্ৰণালী এখনও সমস্ত জানা যায়নি। তবে যতদূর বোঝা যায়, তাতে মনে হয় তারা কাউন্সিলে আর কাউন্সিলের বাইরে আমলাতন্ত্রের সঙ্গে নানারকম ছোটখাট সংঘর্ষ বাধিয়ে তা থেকে ক্ৰমে ক্ৰমে একটা দেশব্যাপী সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে চান। আইন-ভঙ্গ আরম্ভ করবার এই যে প্ৰকৃষ্ট পন্থা তাতে আর সন্দেহ নেই। কিন্তু এই আইন-ভঙ্গ ব্যাপারটা সত্যি সত্যিই যদি দেশব্যাপী করতে হয় তাহলে সুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভদ্রলোকদের নিয়ে তা করলে চলবে না ; সমস্ত দেশবাসীর তাদের সঙ্গে থাকা চাই । তার আয়োজন কি করে’ হবে ? শোনা যাচ্ছে এই উদ্দেশ্যে নূতন দলের নেতারা কৃষক সঙ্ঘ আর শ্রমজীবী সঙ্ঘ গড়বার চেষ্টা করবেন। নাগপুরের কংগ্ৰেসে শ্রমজীবী সঙ্ঘ গড়বার একটা প্ৰস্তাব পাশ হয়েছিল । কিন্তু তা এখনও কাৰ্য্যে পরিণত হয়নি । এবারেও কংগ্রেসে কৃষক আর শ্রমজীবীদের সংঘবদ্ধ করবার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, কিন্তু পুরাণে দল সেই মত কাজ করবার কোনো চেষ্টা করছেন বলে।” আমরা জানিনে। নূতন দল হয়ত সত্যি সত্যিই সে-কাজটা হাতে নিতে পারেন ; কেননা শোনা