পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TW 커 Qod সত্যিই প্ৰাণ কেঁদে থাকে, তাহলে দরিদ্র জনসাধারণের জন্যে তঁরা নিজেদের অন্যায় স্বার্থগুলি ছাড়তে রাজী হবেন না কেন ? এর দ্বারা সুধু এইটুকু কি বোঝা যায় না যে, তঁদের কাছে দেশের স্বাধীনতা মানে সুধু নিজেদের স্বাৰ্থ? তা ছাড়া, ইংলণ্ডে শ্ৰমজীবীদের শক্তি অন্যান্য দেশের শ্রমজীবীদের শক্তির চেয়ে কম বই বেশী নয় ; র্যারা ইউরোপের শ্রমিক সঙ্ঘের খবর রাখেন তঁরাই একথা জানেন। ইতালীতে ফ্যাসিষ্টি আন্দোলন প্ৰবল হয়েছে, কিন্তু ইতালীর ইতিহাস এখনও শেষ হয়নি। “জনবলে কাজ হয় না, তার প্রমাণ আমাদের দেশ”-এ কথাটাও ভুল। বিদেশীস্বদেশী সবাই মিলে তাদের দাবিয়ে রেখেছে। সত্যি সত্যি কেউ তাদের স্বাধীনতার নামে ডাক দেয়নি। যেদিন তা দেবে, সেদিন এক মুহূৰ্ত্তে সব বন্ধন তারা ছিড়ে ফেলবে। তার নিদর্শন অতীতেও দু-একবার পাওয়া গেছে। তারপর হিন্দু-মুসলমানের কথা। গোজামিল দিয়ে হিন্দুমুসলমানের মিল হবে না। হিন্দু-মুসলমানের মিল হতে পারে তখন যখন তারা বুঝবে যে হিন্দুও মানুষ আর মুসলমানও মানুষ। হিন্দু জমিদারের অধীনে মুসলমান প্ৰজাকে দাৰিয়ে রাখা হিন্দু-মুসলমান মিলন ঘটাবার প্রকৃষ্ট পথ নয়। যে অন্যায় অত্যাচার করবে, সে মারা যাবে, তা সে হিন্দুই হোক আর মুসলমানই হােক। মুসলমান প্ৰজাকে খলিফাতের নামে ডাক দেওয়ার চেয়ে তার নিজের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের নামে ডাক দিলে ঢের বেশী ফল পাওয়া যাবে। তারপর দেশের স্বাধীনতা আনতে গেলে ধনী আর মধ্যবিত্তদের