পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6वांब्न अनां चार्थौनडां St. সুতরাং বিদেশের লোকের সঙ্গে নিজেদের অবস্থার তুলনা করে” যখন এদের মন চঞ্চল হয়ে উঠতো, তখন স্বাধীনতার সুখস্বপ্ন এরা দেখতে বটে, কিন্তু সেই প্ৰাণের জ্বালার সঙ্গে যখন পেটের জালা; এসে যোগ দিলে, তখন তারা বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়াল। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দের পর দেশে যে বিপ্লবপন্থীর দল দেখা দিয়েছিল, তারা সবাই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক। বিপ্লবপন্থীদের নামের তালিকা দেখলে দেখা যায় যে তারা ব্ৰাহ্মণ, কায়স্থ না-হয় বৈদ্য । অন্য শ্রেণীর। লোকও ছিল ; কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। বিপ্লবপন্থীরা: দেশের স্বাধীনত চাইতো বটে, কিন্তু সে-স্বাধীনতার মানে ইংরেজের বদলে দেশের উপর নিজেদের শ্রেণীর প্রভুত্ব। বিপ্লবযুগের পর কংগ্রেসের প্রতিপত্তি খুব বেড়ে গেছে। আগে যারা বিপ্লবপন্থী ছিল, মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে এসে তারা অনেকেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেস এখন । মধ্যবিত্ত শ্রেণীরই প্ৰতিষ্ঠান ; তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার মূৰ্ত্তিরীপ। কিন্তু কংগ্রেস কি চায় ? মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে তিনি । উপনিবেশগুলোর মত স্বায়ত্ত্ব-শাসন পেলেই সন্তুষ্ট । অসহযোগীদের একখানা প্ৰধান কাগজ, মাদ্রাজের “স্বরাজ্য”। সেদিন বেশ স্পষ্ট করেই লিখেছে যে অসহযোগীরা ইংরেজী শাসন-প্ৰণালীর কাঠামটা বদলাতে চায় না। ওটা এখন ইংরেজদের স্বার্থরক্ষার জন্যে ব্যবহার: করা হচ্চে ; তো না হয়ে যদি দেশীলোকের স্বার্থরক্ষার জন্যে ব্যবহার করা হয় তাহলেই অসহযোগীরা তুষ্ট হবে। কিন্তু এই দেশীলোক কারা ? বৰ্ত্তমান শাসনযন্ত্র দেশীলোকের,