পথ-নির্দেশ হেম বলিল, ই, হঁ, জানি, তুমি দাও না । পাশেব ঘব হইতে শুনিতে পাইযা সুলোচনা নিকটে আসিযা বলিলেন, ও কি কচ্ছিস্ হেম ! ও যে গুণীব এটো পাত , যা কাপড় ছেডে গঙ্গাজল স্পর্শ ক’বে আয। হেম উচ্ছিষ্টাবশেষ হইতে একগ্রাস মুখে পুবিযা দিয়া বলিল, ঠাকুব, ভাত দাও । গুণীদাব এটো পাতে বসে খাবাল যোগ্যতা সংসাবেক ক’জনেব ভাগ্যে আছে ? এ পাতে খেতে পাওয ভাগ্য । স্থলোচনা অবাকৃ হইয৷ চাহিষ বঙ্গিলেন, বামুনঠাকুব আবও ভাত তবকবি আনিযা থালেব উপব দিযা গেল। গুণী বাবান্দাব ওধাবে বসিবা মুখ ধুইতেছিল, সমস্ত শুনিতে পাহল । সন্ধ্যাব পব সে হেমকে বলিল, আজ হেমেল জাত গেল । হেম নূতন বই লইয৷ মগ্ন হইবা পড়িতেছিল, মুখ না তুলিযাই বলিল, তোমাকে কে বললে ? যেই বলুক জাত গেছে ত ? হেম মুখ তুলিয। বলিল, না । তোমাব পাতে ব’সে খেলে কাক জাত যায না –বাবা জাত তৈরী ক’বেচে– তাদেবও না । গুণী অদূবে আব একটা চেযাবেব উপব বসিযা পড়িয৷ २२
পাতা:পথ-নির্দ্দেশ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৩
অবয়ব