পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে । ه ه د সদর দরজা। সেইজন্যেই আমার অন্দরমহলে কেবল আহত নয়, রবাহূত অনাতুতের আসা যাওয়া । আমার বেদন যন্ত্রে সকল সপ্তকের সকল সুর বাজবার মতোই তার চড়িয়ে রাখা হয়েছে । সুর থামালে আমার নিজের কাজ চলে না । সংসারকে বেদনার অভিজ্ঞতাতেই আমাকে জানতে হবে— নইলে প্রকাশ করব কী। আমার তো বৈজ্ঞানিক দার্শনিকের মতো জ্ঞানের ব্যাখ্যা নয়, আমার-যে প্রাণের প্রকাশ । কিন্তু । একদিকে এই অনুভূতিতেই যেমন প্রকাশের প্রবত না তেমনি আর একদিকে তাকে ছাড়িয়ে দূরে আসাও রচনার পক্ষে দরকার। কেননা দূরে না এলে সমগ্রকে দেখা যায় না, সুতরাং দেখানো যায় না । সংসারের সঙ্গে অত্যন্ত এক হয়ে গেলেই অন্ধত জন্মায়, যাকে দেখতে হবে সেই জিনিসটাই দেখাকে অবরুদ্ধ করে । তা ছাড়া ছোটো হয়ে ওঠে বড়ো, এবং বড়ো হয়ে যায় লুপ্ত। সংসারে বড়োর স্থবিধে এই যে, সে আপনার ভার আপনি বহন করে, কিন্তু ছোটোগুলো হয়ে ওঠে বোঝা । তারাই সব চেয়ে অনৰ্থক অথচ সব চেয়ে বেশি চাপ দেয় । তার প্রধান কারণ তাদের ভার অসত্যের ভার । দুঃস্বপ্ন যখন বুকের উপর চেপে বসে, প্রাণ হাপিয়ে ওঠে, তবুও সেটা মায়া। যখন আমি-র গণ্ডী দিয়ে জীবনের পরিমণ্ডলটাকে ছোটো করি তখনি সেই ছোটো-র রাজ্যে ছোটোই বড়োর মুখোষ প’রে মনকে উদ্বেজিত করে । যা সত্যই বড়ো, অর্থাৎ যা অামি-র পরিধি ছাপিয়ে যায়, তার সামনে যদি এদের ধরা যায় তাহলে তখনি এদের মিথ্যে আতিশয্য ঘুচে গিয়ে এর