পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তে లిపి. © ☾ ব্যালাটন ফু্যরেডের ছবিটির উপরে কালের দূরত্বের ছায়া আছে। অনুভব করলুম তখনকার ঘাট থেকে পাড়ি দিয়ে যে পরপারের কাছে এসে পৌছেছি সেখান থেকে ঐ দিনকার দৃশ্য স্বপ্নের মতো দেখায়। এক জীবনের মধ্যেই কত জন্মাস্তর ঘটে সেই কথাই ভাবি । সেদিনকার বাগান থেকে হয়তো ফুল সঙ্গে আনা যায় কিন্তু সেই বাগানের পথটা লুপ্ত। পরিবত্যমান সময়ের সঙ্গে জীবনকে মিলিয়ে চলতে হবেই, অতীতের সঙ্গে পদে পদে হিসেব চুকিয়ে না দিয়ে উপায় নেই। সেই হিসাবের পুরানো খাতাটা মাঝে মাঝে হাতে পড়ে কিন্তু পুরানো তহবিলটার উপর দাবি খাটে না । পিছন থেকে কেবলি ধাক্কা আসছে, চলো, চলো, নিজের রাস্তা নিজে রোধ ক’রে দাড়িয়ে থেকে না । চলেইছি, চলেইছি, পিছনের দিগন্তে পথচিহ্নগুলো একে একে ঝাপসা হয়ে আসছে। । *~, রাজার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চিত্রাঙ্গদা-নৃত্যাভিনয়ের মহড়া সমানই চলছে। খুব ভালো লাগছে। আর সবই অস্পষ্ট অবাস্তব ঠেকতে পারে কিন্তু আর্ট জিনিসটাকে সত্য অভ্যস্তই মানতে হয় । কেননা তার তো বয়স নেই—আমাদের প্রাত্যহিক সংসারের খাচায় তার বাস নয়, অমরাবতীর আকাশে চলে সে রঙিন পাখা মেলে, মনটা যতক্ষণ সওয়ার