পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 পত্রধারা । উপক্রমণিকা। একটা চেকিতে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলে, দেহমর্যাদানাশের দৃশ্বে হেসে উঠতে পারে, এমন রসিক নারী তখন কেবলমাত্র উপস্থিত ছিলেন আমার ভাগ্যদেবী। এর থেকে বুঝতে পারবে শরীরের উপর অকুষ্ঠিত মনে নির্ভর করবার দিন আমার গেছে—বিশ্বাসঘাতক হঠাৎ একদিন নিশ্বাসঘাতকতা করবে ব’লে সন্দেহ হচ্ছে । করুণ হৃদয়ে উৎকণ্ঠ উৎপাদনের আনন্দ সম্ভোগ করবার ইচ্ছায় খবরটা বিস্তারিত করে জানালুম। আশা করি যথোচিত দুঃখ বোধ করবে—এই দুঃখ, রাগের তাপ নিবারণের বেলেস্তারার কাজ করতেও পারে । { বাষ্পভারমন্থর বাতাসের মধ্যে আবৃত হয়ে আছি— রাত্রে যখন সুখনিদ্রার প্রত্যাশা ত্যাগ করতে হয় তখন একাধিক সহস্র রজনীর আয়োজনের কথা স্মরণ করে মন লুব্ধ হয়—ঘন ঘন হাত পাখা সঞ্চালন করে তুরাশাটাকে উড়িয়ে ফেলতে চেষ্টা করি ।—এঞ্জিন যায় বিগড়িয়ে, মনটা তার সঙ্গে যোগ দেয় । তোমাদের বরানগরের নতুন বাসায় আমার স্থান সংকুলান হবে এ কথাটা মনে রাখলুম। স্থান হয় তো অবসর হয় না— সুযোগ বিদ্রুপ করতে থাকে—উপরের দিকে কল খুলে দেয়, ঘড়ার তলায় রেখে দেয় ছেদ । কোনো একসময়ে দেশ কালপাত্রের সামঞ্জস্য হবেই। অলমতি বিস্তরেণ । ইতি ৯ই জুলাই, ১৯৩৭ ৷