পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে S8% Q。 নিমল নীল আকাশ, কাচা সোনা-রঙের রোদুর, পাতলা রেশমি চাদরে ঢাকা ছোটো পাহাড়গুলির উধেব নগাধিরাজের তুষার-কিরীটি মহিমা, মহাদেবের ধ্যানোদ্দীপ্ত শুভ্র ললাট । আমাদের কাছের অধিত্যকার বনে বনে স্নিগ্ধ চিকণ পুঞ্জীভূত সবুজে লেগেছে পরশমণির স্পর্শ, পাতায় পাতায় জেগেছে সোনার রোমাঞ্চ, নীল নিস্তব্ধতার উপর পাখিদের মিশ্রিত কাকলী নীলাম্বরী কাপড়ের উপর জরির কাজের মতো ঝিলি মিলি করছে। এইমাত্র খেয়ে উঠলুম, একটা আম, গোটাকতক লিচু, টোস্ট করা রুটি, পাহাড়ী গোষ্ঠের মাখনে আর পাহাড়ী মৌচাকের মধুতে লিপ্ত। এসে বসেছি মুক্তদ্বার ঘরে। প্রচুর আলোতে আমার মন গিয়েছে তলিয়ে, আমার উড়ো ভাবনা ঝাপসা বেগনি কুহেলিকায় অস্পষ্ট, কত ব্যবুদ্ধিটা যেন নেশা করে ভোলানাথ হয়ে বসে আছে। ঈর্ষা হচ্ছে না ? সেইজন্যেই লেখা । কালিম্পঙ, ১৪ই মে, শনিবার, ১৯৩৮ ।