পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8br পত্র ধারা ४० গত কালকার চিঠির প্রান্তে তোমাকে যা লিখেছিলুম তার সংক্ষেপ মম এই, আরামের চরম আরাম হচ্ছে অন্তের অনারাম উপলব্ধি করে । এই ধরণের একটা ইংরাজি বচন আছে, তাতে কবি বলেছেন দুঃখের চূড়ান্ত দুঃখ হচ্ছে স্থখীতর দিনকে স্মরণ করা। পূর্ববাক্য আজ আমি চার পয়সা খরচ ক’রে শোধন করতে চাই—বলতে চাই আরামের পরম আরাম হচ্ছে অন্তকে সেই আরামের শরীক করতে ডাক দেওয়া, এর থেকে যা বোঝে। তাই বুঝো। দেবতার সোনার রঙের মদের পাত্র ভোর থেকে উলটে পড়ে গেছে— মাতাল হয়ে উঠল গাছপালাগুলো, নীল আকাশের চোখে লেগেছে বিহ্বলতা, আর ক্ষীণ-কুয়াশায় আবছায় করা পাহাড়গুলোর গদগদ ভাষা। একটা কথা ব’লে রাখি ধ্বনি প্রেরণ করি প্রতিধ্বনির প্রত্যাশায়, তা মনে কোরো না । বাচালতা যাদের স্বধম তাদের বকুনি অহৈতুক আবেগে । বাইরে থেকে এর মজুরি সব সময় মেলে না, দরকারও নেই। ১লা কিংবা ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৫ ৷