পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミ পত্রধারা তাহলে রাজ্যেচিত বদান্ততা দেখানো হবে। তদীয় মহিম খুব উৎসাহের সঙ্গেই রাজি হয়েছেন । ইতি মধ্যে মিস্ প—অবাধে অক্ষুন্ন শরীরে আমাদের দলে এসে ভিড়েছেন। হোটেলের বাইরে খোলা পৃথিবী থাকে, জাহাজের বাইরে মানুষের যোগ্যস্থান নেই। এই জন্তে সকল দলের লোকের সঙ্গে খুব ঘেষাৰ্ঘেষি অনিবার্য। তাতেও নতুন মানুষ যে ঠিক কী তা জানা যায় না বটে কিন্তু কী নয় তা অনেকটা আন্দাজ পাওয়া যায়। প্রথমত ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এর কিছুই জানা নেই এবং উৎসুক্য আকর্ষণ নেই । বুদ্ধিগম্য বিষয় সম্বন্ধেও কোনো অনুরক্তি দেখা গেল না।--সাদা কথার একটমাত্র বাইরে গেলেই ওর পক্ষে ডুব জল হয়ে পড়ে । * মনে কোরো না, আমি কোনো সিদ্ধান্ত মনের ভিতর এটে বসে আছি । সিদ্ধান্ত দ্বারা মানুষের প্রতি অবিচার করার আশঙ্কা আছে । জন্তুরা তাদের অন্ধ সংস্কার থেকে ভয় পায়, সন্দেহ করে। প্রকৃতি তাদের বিচার করতে দেননি, বিচারে যতগুলো প্রমাণের দরকার হয়, তা সংগ্রহ করতে সময় লাগে—ইতিমধ্যে বিপদ এসে পড়ে—যেটা চূড়ান্ত প্রমাণ সেইটেই চূড়ান্ত বিপদ । হরিণ শব্দমাত্র শুনলেই অন্ধসংস্কারের তাড়ায় দেড় মারে—শব্দটা ঝোপের ভিতরকার বাঘের কাছ থেকে এল কি না তার নিঃসংশয় প্রমাণ নিতে গেলে বাঘ এবং প্রমাণ ঠিক এক সঙ্গেই এসে পড়ে। মানুষ যখন কোনো কারণে বিষম সংকটের অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ যখন খুব তাড়া