পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রধারা "ל צ 이 সমুদ্রে আজ নিয়ে আর চারদিন আছি। ১৬ই সকাল কলম্বো পৌঁছব | কিন্তু দেশে পৌছবার শান্তি পাব না। দীর্ঘ রেলযাত্রা নানা ভাগে বিচ্ছিন্ন। তারপরে পুপে যাকে বলতে শিখেছে “মালপত্র”, তার সংখ্যা বহু, তার আয়তন বিপুল এবং তার আধারগুলির অবস্থা শোকাবহ। কোনো বাক্স আছে , যাত্রার সূচনাতেই চাবির সঙ্গে যার চিরবিচ্ছেদ, দড়িদড়ার বন্ধন ছাড়া যার আর গতি নেই ; কোনো বাক্স আছে যার সর্বাঙ্গ আঘাতে জর্জর, কোনো বাক্স আছে যা ভূরিভোজপীড়িত রোগীর মতো উদগারের দ্বারা ভার প্রশমনের জন্য উৎসুক—অথচ যুদ্ধক্ষেত্রের হাসপাতালের রোগীর মতে। এদের সম্বন্ধে রথীর উদ্বেগ সকরুণ। তা হোক তবুও দেশের মুখে চলেছি এবং দীর্ঘপথের সেই তরুচ্ছায়াচ্ছন্ন শেয ভাগটা যেন দেখা যাচ্ছে। এখানে আমাদের দেশের সেই দাক্ষিণ্যপূর্ণ সূর্যালোক আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্লপক্ষের চাদ প্রতিদিন পূর্ণতর হয়ে উঠছে ; আমাদের মর্মরমুখরিত শালবীথিকার পল্লবপুঞ্জের মধ্যে তার দোললীলা মনে মুনে দেখতে পাচ্ছি। প্রবাসবাসের সমস্ত বোঝ। উত্তরায়ণের বহিদ্ধারে নামিয়ে দিয়ে আপন মনে স্বেচ্ছাবিহারের পালা অনতিবিলম্বে শুরু করব ব’লে কল্পনা করছি । কিন্তু