পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ : পত্রধারা X o আমি যে তোমাকে চিঠি লিখেছি এতদিন পরে তার একখানি প্রাপ্তিস্বীকার পাওয়া গেল। ইতি পূর্বে গতসপ্তাহে প্রশান্তর একখানি সুন্দর চিঠি পেয়েছি। তাতে বর্তমান যুরোপের সর্বত্রই যে—একটা দুশ্চিন্তার আলোড়ন চলছে তার একটা বেশ স্পষ্ট ছবি দেওয়া হয়েছে। মনে করছি এর ইংরেজি অংশ বাংলা ক’রে এটাকে কোনো একটা কাগজে ছাপানো যাবে । এই মাত্র বিকেলের গাড়িতে রেখা চোখের জল মুছতে মুছতে ঢাকায় তার শ্বশুরবাড়ি অভিমুখে চলে গেল। অমিয় বললে, নতুন বিয়ের কালে যে-কোনো স্বামীকেই তার যেকোনো স্ত্রীর উপযুক্ত বলে মনে হয় না। শুনে মনে হোলো, তার কারণটা এই যে, নববধূ আপনার সব কিছুকেই দান করে, তার চোখের জলের মধ্যে সেই কথাটাই প্রচ্ছন্ন থাকে। অতীতের সঙ্গে সম্বন্ধ বন্ধনের তন্তুতে তন্তুতে বদ্ধ জীবনকে ছিন্ন করে নিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করে । কিন্তু তার স্বামী সব দিতে বাধ্য হয় না। এই আদান প্রদানের অসমানতাকে নিজের পৌরুষ সম্পদ দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারে এমন সামর্থ্য অল্পলোকেরই আছে। তার পরে দিন যায়, স্ত্রী ক্রমে যখন নিজের গুণে ও শক্তিতে নিজের সংসার সৃষ্টি করে তোলে