পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে లిల X 8 আমাকে পোর্টসায়েদে চিঠি দিতে লিখেছ । গেল সপ্তাহে পাঠিয়েছি। দেনা পাওনার কোনো প্রত্যাশা না করেই এতদিন আমার চিঠিতে আমি নিজের মনের ঝোকে বকে গিয়েছি । বকবার সুযোগ পেলেই আমি বকি, এবং বকতে পারলেই অামি নিজের মনকে চিনি, তার বোঝা লাঘব করি—সাহিত্যিক মানুষের এইটেই হচ্ছে ধর্ম। কিন্তু বকতে পারা একান্ত আমার নিজের গুণ তা নয়—শ্রোতার পক্ষে বকুনি আদায় করে নেবার শক্তি থাক চাই । ইচ্ছে করলেও মন মনের কথা দিতে পারে না । আমাদের এখানে প্রতিদিনই এই বৈশাখের আকাশে জলভরা মেঘ আনাগোনা করছে,প্রতিদিন ফিরে ফিরে যাচ্ছে, এক ফোট জল দিতে পারছে না। যে বায়ুমণ্ডল জল নেবে, তার জোর পেচচ্ছে না। মোট কথা হচ্ছে, আমার কথাভর মনের পক্ষে বকুনিটা আমার নিজেরই গরজে । কিন্তু তাই ব’লে পোস্ট আফিস ব’লে একটা বস্তাবাহক স্থল পদার্থকে মনের সামনে খাড়া করে কথা বলতে চাইলেই যে নিরবধি বলে যেতে পারি এত বড়ো পৌত্তলিক আমি নই। সেইজন্যে যখন মনে ধোকা আসে যে পোস্টআফিসের চরম প্রাস্তে কর্ণবান কেউ নেই, আছে আমেরিকান এক্সপ্রেসের