পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२. পত্রধারা 이 বৃষ্টি ধরে গেছে, মেঘও গেছে সরে—চারিদিকে সরস সবুজের চিকন আভা—একেবারে ঝলমল করছে—বাঙ্গালোরের সেই সবুজ সিন্ধের সাড়িতে যেন সোনালি স্থতোর কাজ করা। একটু একটু হাওয়া দিচ্ছে। এখন বেলা তুটো । কেয়াফুলের গন্ধ আসছে—টেবিলের একপাশে কে রেখে দিয়েছে। এই বর্ষাদিনের ছপুরবেলাকার রোদুর ঈষৎ আর্দ্র, তার উপরে যেন তন্দ্রার আবেশ ; সামনের আকন্দগাছে ফুল ধরেছে, গোটাকতক প্রজাপতি কেবলি ফুরফুর করে বেড়াচ্ছে —কোথাও কোনো শব্দটিমাত্র নেই, —চাকরবাকর আহারে বিশ্রামে রত, ছুতোর মিস্ত্রির দল এখনো কাজ করতে আসেনি। বসে বসে কোনো একটা খেয়ালের কাজ করতে ইচ্ছে করছে—এই “রৌদ্রমাখানে অলস বেলায়”—গুন গুন করে গান করতে কিংবা স্মৃষ্টিছাড়া ধরণের ছবি আঁকতে— অথচ তুটোর কোনোটাই করা হবে না, সহজ ইচ্ছেগুলোরই সহজে পূরণ হয় না। আমার ক্লাস্তিভর কুঁড়েমির ডিগ্রিট অতটুকু কাজ করারও নিচে । সেই “মিতা” গল্পটায় মাজাঘষা করছিলুম—অল্প কিছু বেড়েও গেছে । এখানকার শ্রোতাদের ভালোই লাগল। আবার একটা নূতন গল্পে প্রথম ধাক্কা দেবার মতো জোর পাচ্ছিনে।