পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তুে " «• ミQ রথীরা এসে পৌছেছে। বাড়ি ভরে উঠল, পুপু একটুখানি লম্বা হয়েছে ; ভাবখান আগেকার চেয়ে অল্প একটু গম্ভীর, কিন্তু তবু ওর বয়সের চেয়েও অনেকটা কমবয়সী । অসম্ভব রকমের বাঘের সম্বন্ধে ওর ঔৎসুক্য পূর্বের মতোই আছে। দাদামহাশয়ের লাঠি এবং পুপের চাবুকের ভয়ে বাঘ ব্যাকুল হয়ে লুকিয়ে আছে এ সম্বন্ধে ওর সন্দেহ নেই । আজকাল মাঝে । মাঝে আপনি দাদামহাশয়ের কাছে এসে বসে, যা মুখে আসে একটা কোনো ভূমিকা করে কথা শুরু করে দেয়। বিষয়টা যতই অসংলগ্ন হোক ওর ভাষার দৌড়ের ব্যাঘাত করে না । ওর বড়ো বড়ো চঞ্চল কালো চোখ ওর কথার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলজল করতে থাকে, আমার যেন বুকের ভিতরটা ভরে ওঠে । দীর্ঘকাল আমার মন এই মাধুর্যটুকুর অপেক্ষায় ছিল। অথচ জিনিসটি খুব সহজ, হৃদয়ের মধ্যে এই শিশুর আবির্ভাব ভারি নিমল, স্নিগ্ধ এবং অনির্বচনীয়, মনকে হরণ করে অথচ মুক্ত রাখে ; নদীর প্রথম সূচনা যে ঝরনায় সেই ঝরনার মতে সেইরকম নৃত্য, সেইরকম কলধ্বনি, সেইরকম শুভ্র চ আলোর ঝলমলানি ; গভীরতা নেই, কিন্তু প্রবলতা ত মগ্ন করে না, অভিষিক্ত করে, মতে fর ভার ওতে যথেষ্ট তাতে করেই ও যেন আমারও জীবনের ভার মোচন ইতি ২৭ কার্তিক, ১৩৩৫। арии вещицийциацид,