পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে ११ J)&) কাল জাপানি বন্দরে এসেছি—নাম মোজি l, আগামী কাল পৌছব কোবে। পাখি বাসা বাধে খড়কুটো দিয়ে, সে বাসা ফেলে যেতে তাদের দেরি হয় না—আমরা বাস বঁাধি প্রধানত মনের জিনিস দিয়ে কাজে কমে, লেখা পড়ায়, ভাবনা চিন্তায় চারদিকে একটা অদৃশ্য আশ্রয় তৈরি হোতে । থাকে । হাওয়াগাড়ির গদি যেমন শরীরের মাপে টোল খেয়ে খোদলগুলি গড়ে তোলে,—মন তেমনি নড়তে চড়তে তার হাওয়া-আসনে নানা আকারের খোদল তৈরি করে, তার মধ্যে যখন সে বসে তখন সে বসে যায়—তারপরে যখন সেটাকে ছাড়তে হয় তখন আর ভালো লাগে না । এ জাহাজে আমার তেমনি ঘটেছে। এই ক্যাবিনে এক পাশে একটি লেখবার ডেস্ক, আর এক পাশে বিছানা, তাছাড়া আয়নাওয়ালা দুেরাজ আর কাপড় ঝোলাবার আলমারি, এর সংলগ্ন একটি নাবার ঘর এবং সেটা পেরিয়ে গিয়ে আর একটা কাবিন, সেখানে আমার বাক্স তোরঙ্গ প্রভৃতি। এরই মধ্যে মন নিজের আসবাব গুছিয়ে নিয়েছে। অল্প জায়গা ব’লেই আশ্রয়টি বেশ নিবিড়, প্রয়োজনের জিনিস সমস্ত হাতের কাছে। এখান থেকে নেমে ছদিনের জন্য সাংহাইয়ে স্থ-র বাড়িতে ছিলুম, ভালো লাগেনি, অত্যন্ত ক্লান্ত করেছিল, তার প্রধান কারণ নূতন