পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে | ده ぐんb" সকাল থেকেই আজ বাদলা । চারদিক ঝাপসা । ঘোর ঘনঘটা বললে যা বোঝায় তা নয়। মেঘদূত যেদিন লেখা হয়েছিল সেদিন পাহাড়ের উপর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। সেদিনকার নববর্ষায় আকাশে বাতাসে চলার কথাটাই ছিল বড়ো। দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছুটেছিল মেঘ, পুবে হাওয়া বয়েছিল “শু্যামজম্বুবনান্ত”কে তুলিয়ে দিয়ে, যক্ষনারী ব’লে উঠছিল, মাগো, পাহাড় স্থদ্ধ উড়িয়ে নিলে বুঝি। তাই মেঘদূতে যে-বিরহ সে ঘরে বসে থাকার বিরহ নয়, সে উড়ে চলে যাওয়ার বিরহ । তাই তাতে দুঃখের ভার নেই বললেই হয় ; এমন কি তাতে মুক্তির আনন্দ আছে। প্রথম বর্ষাধারায় যে পৃথিবীকে, উচ্ছল ঝরনায়, উদ্বেল নদীস্রোতে, মুখরিত বনবীথিকায় সর্বত্র জাগিয়ে তুলেছে সেই পৃথিবীর বিপুল জাগরণের স্বরে লয়ে যক্ষের বেদন মন্দ্রাক্রান্ত ছন্দে নৃত্য করতে করতে চলেছে। মিলনের দিনে মনের সামনে এত বড়ো বিচিত্র পৃথিবীর ভূমিকা ছিল না—ছোটো তার বাসকক্ষ, নিভৃত—কিন্তু বিচ্ছেদ পেয়েছে ছাড়া নদীগিরি অরণ্য শ্রেণীর মধ্যে। মেঘদূতে তাই কান্না নেই, উল্লাস আছে । যাত্রা যখন শেষ হোলো, মন যখন কৈলাসে পৌছেছে, তখনি যেন সেখানকার নিশ্চল নিত্য ঐশ্বর্ষের