দেখিতেই পায় নাই, এইভাবে অতিবেগে তাঁহার পাশ কাটিয়া চলিয়া গেল! তখন হতবুদ্ধি হইয়া কৃষ্ণ পেছনে পেছনে ‘দূতি দূতি’ বলিয়া ডাকিতে লাগিলেন।
‘‘দূরে হেরি নাগর, চতুরা সহচরী
ঠমকি ঠমকি চলি যায়।
জনু আন কাজে, চলত বররঙ্গিনী
ডাহিনে-বামে নাহি চায়।
হরি হরি লুটায়ত কান, সহচরী গমন হেরইতে তৈখন,
হৃদয়ে করত অনুমান।
“কি এ অতি সদয়, হৃদয় ইহ মঝু পর,
সহচরী ভেজল কি রাই।
কি এ আন কাজে, চলত বর রঙ্গিনী,
কারণ পুছই বোলাই।
“সহচরি, সহচরি, সহচরি, করি হরি বেরিবেরি,
বহু বেরি করত ফুকার।
“চতুরিণী সহচরী ঝুঁকি কহত মধু,
নাম লেই কোন গোঙার।’’
‘‘চমকি কহত হরি হাম রাইকিঙ্কর
করুণা করিয়া অব আহ।
দাম মনোহর এক নিবেদন,
শুনি তবে আন কাজে যাহ।’’
কৃষ্ণের ধূলিঝাড়া, ময়ূরপুচ্ছ-পরা প্রভৃতি সম্বন্ধে পদটি তালে গীত হইয়া থাকে। এই তাল অতি ত্রন্ত, কৃষ্ণের মনের ব্যস্ততার সঙ্গে উহার বেশ ঐক্য হয়।
বহু আহ্বানে বৃন্দা যে উত্তর দিল, তাহ মোটেই উৎসাহ-ব্যঞ্জক নহে। আমি কুলনারী, আমার পেছন-পেছন এমন করিয়া ডাকিতেছে কোন্ দুর্ব্বত্ত? “দুর্ব্বৃত্ত” কথাটি আমার। পদে “গোঙার” শব্দটি