বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পদাবলী-মাধুর্য্য.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
পদাবলী-মাধুর্য্য

ব্রহ্মলোকে পৌঁছিয়া দেয়—তাই কবি “বাঁশের বাঁশী”কে “নামের বেড়াজাল” বলিয়াছেন।

“সরল বাঁশের বাঁশী নামের বেড়াজাল।
সবাই শোনয়ে বাঁশী—রাধার হ’ল কাল। (৮)

রাধার সংসার-বদ্ধ ছেদন করিতে উহা অধ্যাত্মলোক হইতে আসিয়াছে।

 নাম-জপ দ্বারা রাধা ইহলোক হইতে প্রেমলোকে আকৃষ্ট হইয়াছেন, এই জপের পরিবেষ্টনী অতিক্রম করিয়া অমৃতের অধিকারী হইয়াছেন, তার পরে বাঁশী—অশিষ্ট বাঁশী—ঘরের বউকে নাম ধরিয়া ডাকিয়াছে। অন্য এক কবি লিখিয়াছেন—আমার সুখের গৃহের উপর “বংশীরব বজ্রাঘাত, পড়ে’ গেল অকস্মাৎ”; অপর কোন কবি বংশীরবকে বজ্রাঘাতের সঙ্গে তুলনা দিয়াছেন কি না জানি না, কিন্তু শ্যামানন্দ তাঁহার চিরসুহৃৎ নরোত্তমের চিত্র স্মরণ করিতে করিতে রাধার সম্বন্ধে এই গানটি লিখিয়াছেন। রাজকুমার নরোত্তমের তরুণ বয়সে সে আহ্বান,—প্রাণেশ্বরের বংশীধ্বনি—বজ্রাঘাতের মতই পড়িয়া, তাঁহাকে রাজপ্রসাদ হইতে আনিয়া পথের ভিখারী করিয়া দিয়াছিল। রাধার কাছে এই আনন্দের আহ্বান বজ্রাঘাতের মতই নিদারুণ হইয়াছিল। তিনি ঘর-করণা করিতে সমস্ত আয়োজন গুছাইয়া লইয়াছিলেন, এমন সময়ে ডাক পড়িল, তখন সব ফেলিয়া না যাইয়া উপায় নাই, প্রাণ-বন্ধু ডাকিতেছেন।


৫৷ দর্শন

 প্রথম দর্শন চিত্রে।

“হাম সে সরলা, অবলা অখলা, ভালমন্দ নাহি জানি,
বিরলে বসিয়া, পটেতে লিখিয়া, বিশাখা দেখালে আনি।” (চ)

 মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, দর্শন-প্রার্থীকে প্রথমে আভাস মাত্রে দেখা দিয়া ভগবান প্রলুব্ধ করেন। এইজন্য চিত্র-দর্শনের পরিকল্পনা।AC