পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#* আমি তোমায়ে মহৎ দন্ডে শাসন করিলাম । ফলতঃ, দুষ্টা ও অধৰ্ম্মচারিণী; পতি ত্যাগ করিয়৷ আসিয়াছ । তোমার পতিদৈবত্ব কোথায়, প্রদর্শন কর । তুমি পুংশ্চলী, সেই জন্য স্বীয় স্বামী ত্যাগ করিয়াছ। পৃথক শয্যা গ্রহণ করিলেই, স্ত্রী পুংশ্চলী বলিয়া পরিগণিত ছয় । রে নির্লজ্জে ! রে নির্ঘৃণে ! রে দুষ্টে ! তুমি আবার সম্মুখীন হইয়া, কি বলিতেছ ? অদ্য তোমার বলবীৰ্য্যপরাক্রম প্রদর্শন কর । পদ্মাবতী কছিলেন, রে অসুরাধম । শ্রবণ কর । পিতা স্নেহবশতঃ আমারে ভর্তৃগৃহ হইতে আনয়ন করিয়াছেন । তাছাতে পাতকসম্ভাবনা কোথায় ? আমার মন সর্ব্বথা সেই পতির প্রতি আসক্ত এবং আমি সর্ব্বদা পতিরই ধ্যান করিয়া থাকি । কাম, লোভ, মোহ বা মাৎসর্য্য প্রযুক্ত তাঁহারে ত্যাগ করিয়া আসি নাই, তুমি ভর্তৃরূপধারণ করিয়াই ছলক্রমে আমারে বঞ্চিত করিয়াছ ? আমি স্বামিবোধেই তোমার সম্মুখীন হইয়াছি। রে নরাধম! এক্ষণে তোমার মায়ণ জানিতে পারিয়াছি । অতএব একমাত্র হুঙ্কারে তোমারে ভস্মসাৎ করিব । ক্রমিল কহিল, শ্রবণ কর , যাহাদের চক্ষু নাই, তাহারাই দেখিতে পায় না । তুমি ধৰ্ম্মনেত্রবিহীন হইয়াছ, কি রূপে আমারে জানিতে পারিবে। যে সময় তোমার পিতৃগৃহে মন ধাবমান ছয়, সেই সময়েই তুমি পতিভাব ত্যাগ করিয়া, ধ্যানে মুক্ত হইয়াছ । এবং সেই সময়েই তোমার জ্ঞানচক্ষু বিনষ্ট ও হৃদয় স্ফুটিত হইয়া যায়। তুমি জ্ঞানচক্ষু বিহীন হুইয়া, কিরূপে আমারে জানিতে পারিৰে ।