পাতা:পদ্মপুরাণ - বিজয় গুপ্ত.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছত্র ঢলন । কৌতুক চাওনি করে বালি লক্ষ্মীন্দর । পঞ্চস্বরে নানা,বাদ্য বাজে মনোহর । বিপদ নিকট হইলে বিধি পাছে লাগে । আচম্বিত লক্ষ্মীনন্দরের মাথার ছত্ৰ ভাঙ্গে ॥ হাস,পরিহাসে চলবে ছিল আনন্দিত । হেন কালে মাথার ছত্ৰ পড়িল ভূমিত৷ ভাঙ্গিল কনকছত্ৰ শূন্য হইল শির। হাহাকার করি কান্দে চক্ষে বহে নীর ৷ কাণাকণি করে যত বণিক সমাজ । বিয়া কালে ছত্ৰভঙ্গ ভাল নহে কাজ ৷ ঘরে থেকে সুমিত্ৰা যে ছাড়িল নিঃশ্বাস । শুভ কাজে ছত্রভঙ্গ একি সর্বনাশ ৷ বিষাদ ভাবিয়া বলে যত দেবগণ। বিয়াকালে ছত্ৰভঙ্গ অশুভ লক্ষণ ৷ হাসিয়া খলিলু তুবে মহামায়া আই। এ সব বৃত্তান্ত পুছ মনসার ঠাই ॥ দেবীর কথায় সবে হাসিল বিস্তর। একক মনসা থাকে সবে গোল ঘর ॥ ভাঙ্গিয়া, পড়িল ছত্র শূন্য হইল শির। ভাবিয়া মনসা দেবী যুক্তি করে স্থির। আড়াইরাজ নামে সৰ্প জানে সৰ্ব্বজন । শত গজ ঘর যেন সেই নাগের ফণা ৷ কপটে করিল কাৰ্য্য কেহ নাহি জানে । ডাক দিয়া পদ্মাবতী সেই নাগ আনে ॥ ফণা ছাড়ি সেই নাগ আসে পাতাপাতি । পদ্মার আদেশে গিয়া ধরে নাগাছাতি ৷ "কাহার শকতি বুঝে দেবতার মায়া। নাগছত্র মনসা লখাইর দিল ছায়া৷ যে থাকে বিধির মনে সে কথা ন লড়ে। মাথার উপরে নাগ লখাইর দৃষ্টি পড়ে।

  • ții l

দর্পণে দেখিয়া নাগ যায় বড় ভীত । কম্পিত শরীরে ডাক ছাড়ে বিপরীত ॥ " মহাবিষ সৰ্পবিষ লখাই দেখিয়া নিকটে । মোহ গেল লক্ষ্মীন্দর প্রাণ নাহি ঘটে ৷ সৰ্পের সম্রাম বড় সোনেকার পো। সৰ্প সৰ্প করিয়া লখাই তখন হইল মো ৷ কপাটি লাগিল দন্তে লড় বড় করে গলা । অচেতন হইয়া পড়ে লক্ষীন্দর বালা ৷ ভূমিতে পড়িল লখাই মুখে উঠে ফেণা। হাহাকার করিয়া এবে উঠিল সর্বজন ॥ লখাই বেড়িয়া কান্দে যত সব আই । বিজয় গুপ্তের রাখি পদ্মাবতী মাই ৷ সাহে সদাগর কান্দে লোটাইয়া ধারণী । সোমাই পণ্ডিত কান্দে মুখে নাহি বাণী ॥ সুমিত্ৰা অবধি কান্দে তার অন্ত নাই । লখাইরে বেড়িয়া কান্দে বেহুলার ছয় ভাই সাহের ছয় পুত্র কান্দে তার মুখ চাইয়া । থাকুক অন্তের কাজ পদ্মার পোড়ে হিয়া । লখাইটার মরণে সৰ্ব্বলোকে করে শোক । মাথায় হাত দিয়া কান্দে উজানীয় লোক ৷ নাকেতে নিশ্বাস নাহি ভূমি পড়ে আছে । পুত্র পুত্ৰ বলি চান্দ ধেয়ে গেল আছে ৷ চন্দে বলে কোথায় গেল প্ৰাণের লখাই । বিজয় গুপ্তেরে রাখা বিষহরী আই ॥