পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনিলকে বলে, দিদির জবরটা এখন কম । res 3 p ঃ একশ'র নিচে নেমেছে। আর একটু বেলায় বোধ হয় একেবারে রেমিশন হয়ে शाल ! অনিল তেল-মাখা ভাজা মাড়ি চিবোতে চিবোতে বলে, তাহলে তো বাঁচা যায়। প্ৰণতির বয়স এগারো পেরিয়েছে । তেমন বাড়শ্চত নয় বলে এখনো ফ্রক পরে এবং খব বিশ্ৰী লাগলেও জানে আর মানে যে আরও দ’তিন বছর তাকে ফ্রক পরেই চালিয়ে যেতে হবে । শাড়ীর ব্যবস্থা হবে না-যদিও তার চেয়ে কমবয়সী, তার চেয়ে বোটে খাটো মেয়ে শাড়ী বাউজ পরে সেজেগজে স্কুলে আসে। গোটা দাই সাধারণ ফ্রক আর ইজের হলেই তার চলে যায় । শাড়ীর দাম বেশী । শাধ তাই নয়। শাড়ীর সঙ্গে সায়া বাউজ দরকার হয় ---লাগসই সায়া বল্লাউজ । প্ৰণতি ভারিঙ্কী বয়সের গিৰিবাক্ষীর মত বলে, দিদির জন্য ভেবে না । দিদির ম্যালেরিয়া হয়েছে । ঃ তই দেখছি ডাক্তার হয়ে উঠেছিস । ঃ ডাক্তার হতে হয় নাকি ? কপিয়ে জবর এল, তারপর ঘাম দিয়ে ছেড়ে গেল -- ম্যারেরিয়া ছাড়া এরকম জবর হয় ?

3

প্ৰণতি আর এক মহত্যেও দাঁড়ায় না। ধীর পদক্ষেপে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। অনিল জিজ্ঞাসা করে, বাড়িটা কেমন চুপচাপ হয়ে আছে খেয়াল করেছে ? রোজ ভোর হতে না হতে চে'চামেচি হৈ চৈ শাির, ২য়, আজি কারো সাড়া শব্দ নেই। কান্তার গলা কোঁপে যায় । ঃ সমিতির ম্যালেরিয়া জনারের জন্য তো এরকম হওয়ার কথা নয়। জিজ্ঞাসা করতেও ভয় করছে । সনীল কিছদ করে বসে নি তো ? ঃ সনীলের জন্যই তো । কান্তার মািখ বিবৰ্ণ হয়ে যায়। প্রায় অস্ফুটবরে সে বলে, বিষটা তো আমি আদায় করে নিয়েছিলাম । আবার যোগাড় করে অনিল । অনিল আশ্চর্য হয়ে বলে, বিষের কথা কি বলছ ? বিষ তো খায় নি। সনীল, কাল বাড়ি ছেড়ে কোথায় চলে গেছে । কালতো সাবস্তির নিঃসবাস ফেলে । একটি গবের সঙ্গেই সে অনিলকে সনীলের কাছ থেকে মারাত্মক বিষ কেড়ে নেওয়া এবং তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার উপদেশ দেওয়ার কাহিনী শোনায়। অনিল অভিভত হয়ে শোনে । খানিকক্ষণ চোখ বাজে থেকে ধীরে ধীরে বলে, তোমার বাস্তব বন্ধি আছে জানতাম, এতটা যে আছে তা জানা ছিল না। তমি ঠিক ধরেছিলে, অন্য কোন সদ্যপদেশে কাজ SSS