পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্তা সহজভাবেই জবাব দেয়, সনীলের জন্য নয়। অপঘাত থেকে দেশের একটা ছেলের প্রাণ বাঁচিয়েছি-এই নিয়ে অহঙ্কার করার জন্য } অনিলের মান বিষন্ন মখে একটু হাসি দেখা যায়। अभाद्ध शनि । আনন্দের হাসি । আশা ছাড়া তো আনন্দ নেই । পশ্চিমের সদর এক শহরে রওনা হবার জন্য প্রস্তত হতে হতে কান্ত! তাই ভাবে ! সনীলের কোন অসংখ হয় নি। না খেয়ে কাজের চেষ্টায়। ঘরতে ঘরতে সে পথের ধারে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল । জ্ঞান ফিরে এসেছিল অলপক্ষণের মধ্যেই কিন্ত মাথা তলে কোনদিকে তাকাবায় ক্ষমতাটকুও তার ছিল না । সেইখানে পথের ধারে মাথা গজে অজ্ঞান মানষের মতই সে পড়েছিল রাত দশটা পর্যন্ত । বড় শহর বলেই তারপর তার ভাগ্যে অ্যাম্ববালেস্পেস চড়ে হাসপাতালে চালান হবার সৌভাগ্য জাটেছিল । সনীলকে বিদায় দেবার জন্য হাসপাতালের লোকেরাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল । বেড়োয় অভাবে খাঁটি রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হয়—একটা নীরোগ সােথ ছেলেকে শাখা খাওয়াবার জন্য আটকে রাখলে চলবে কেন । কান্তা জিজ্ঞাসা করে, বাড়ি ফিরবে তো ? সনীল বলে, হ্যা, বাড়ি ফিরব । এভাবে ভবঘরে হয়ে কিছু করা যায় না। দ’এক দিনের মধ্যে আমি নিজেই রওনা দিতাম । ঃ না খেয়ে, বিনা টিকিটে ? ঃ তোমরা টাকা পাঠাবে বলেই অপেক্ষা করছিলাম। ডান্তারকে সব জানিয়ে রোগী বলে হাসপাতালেই পড়েছিলাম। আমার লজ্জা ভয় হতাশা সব কেটে গেছে কাস্তাদি -ফিরে গিয়ে কিছ আমি করবই করব । ঃ অন্যরকম পাগলামি ? সনীল হেসে বলে, না, এবার যাই করি, দাদার সঙ্গে নয়তো তোমার সঙ্গে পরামর্শ করে করব । সময় ছিল সঙ্গে টাকাও ছিল । সনীলকে নিয়ে কাম্পতা সোজাসঙ্গি কলকাতা ফেরার জন্য রওনা দেয় না, অনিলদের নিশ্চিস্ত করার জন্য একটা খবর পাঠিয়ে দিন দশেক এদিকে ওদিকে দর্শনীয় স্থানে ঘরে বেড়ায়। জীবনে হয়তো আর সংযোগ হবে না। বাড়ি ফেরার জন্য সনীল ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল, একরকম নিরপোয় হয়েই সে কাস্তার সঙ্গে ঘরে বেড়ায় । శీ