পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3f2GNas এইভাবে যখন চলতে থাকে তাদের জীবন নাটকের পালা, নানা জটিলতার ফাঁদে ঘরপাক খেতে খেতে কেবলি বাধা-বিপত্তির দেয়াওলে কপাল ঠাকে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। আশা-আনন্দের কলপনা-সবার কাছে চিরদিন যে তািচ্ছ। বাতিল হয়েছিল সেই রোগা বেটে তোতলা সমীরের জীবনে পযন্ত নাটক ঘনিয়ে আসে । পরীক্ষা পাসের লেখাপড়া তার খতম হয়ে গেছে । তিনবারের চেষ্টায় স্কুলের সীমা কোনরকমে ডিঙিয়ে যাবার পর যথারীতি কলেজে ভতি করে দেওয়া হলেও তাকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বলা শােধ, যে অর্থহীন নয়, অন্যায়- সে খবরটা উমা এবং হরিপ্রসন্ন দ’জনেই রাখত । সে কি করছে না করছে সে বিষয়ে তারা কিছই জানত না । কারণ সনিদিষ্ট কিছই সমীর করত না । টুকটাক কাজ সে করছে, সংসারে টাকা দিতে না পারলেও নিজের খরচটা চালিয়ে যাচ্ছে - এটাই যথেস্ট মনে করে তার সম্পকে উদাসীন হয়ে থাকার সবস্তি পাওয়াটা সম্ভব হয়েছিল । বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে উমা চাকরিটা আঁকড়ে থাকায় বাড়িতে কহু, কিছু মাছ দধি আনা আর সম্প্ৰতাহে একদিন মাংস করার ব্যবস্থাটা বজায় ছিল। গোড়ায় সমীর সবই খেত, তারপর হঠাৎ ওসব খাওয়া একেবারে বাজন করেছে । উমার সঙ্গে তার কথা বলার খবরটাও হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ৰী { ফস রঙ । কাগজের সঙ্গে যেন পালা দিতে চায় এরকম সাদাটে রকম ফস । ” ঃ নিরামিষ খাবি বলে মাছ মাংস ছেড়ে দিয়েছিস সে আলাদা কথা, যদিও তোর পক্ষে এটা উচিত হয় নি- মাছ ডিম মাংসই তোর সব চেয়ে বেশি দরকার। ঝোঁক চেপেছে, নিরামিষ খা-কিন্ত, একটু দধি খাস না কেন সমীর ? ঃঃ আমাদের ওসব না খাইয়ে টাকা জমাও-ছেলেমেয়ে হলে তাদের খাওয়াবে । ৪ বিশ্ৰী চেহারা হয়ে গেছে ৩েlর । ঃ কবে সশ্রী ছিল ? ঃ ছিল বৈকি। ছেলেবেলায় পাড়ার লোকে ডেকে তোকে আদর করত । সমীরের চেহারা প্রকাতির নিয়মেই বেটে এবং রোগা---বাইশ তেইশ বছরের জোয়ানকে মনে হয় ষোল সতের বছরের কিশোর। সেই চেহারাতেও বিশ্ৰী একটা শিটিকে ভাব এসেছে নজরে পড়লে উমা। এইভাবে খানিকটা উদ্বেগ প্রকাশ করে । মনে মনে সঙ্কলপ করে, ডাক্তার দেখিয়ে মাছ দধি খাইয়ে ভাই-এর শরীরটা ঠিক <द्राङ श्द । নিজের ঝনঝাটে কিছই করা হয় না ! কে জানত অপস্ট অকেজো এই জোয়ানটার জন্য দরূদ জাগবে সমিতির মনে । NSVs