পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চালাই, সংসারে যা দিই তাতে যে আমার মত তিনজনের পেটে চলে যায়, দাদ তা fire a ঃ জানিয়ে দিলেই হয়। বেচারী খেটেখাটে রোজগার করছে, সব দিকে কি নজর থাকে ? এসব ব্যক্তির দাম নেই সমীরের কাছে । জীবনের দামটাই বড় রকম আদর্শগত নিয়মনীতির হিসাবে সে করে থাকে । পঙ্গ একজন যািবকের পক্ষে এটা সত্যই আশ্চৰ্য্য কথা । ঃ সব দিকে নজর না রাখতে পারে, কোনদিকেই রাখবে না । ঃ সংসারটা চালাচ্ছে তো ? ঃ সংসার অনেকেই চালায় । চাকরি করে মা-বাপ ভাই-বোনের সংসার চালানোর মধ্যে বাহাদরী কিছু নেই। তাও যদি খাতিরের চাকরি না হত । তারপর সমীর একটি হেসে বলে, আমি বরং খেটেখাটে রোজগার করি।--সত্যিকারের খাটনি । দিদির তো আরামের চাকরি। পয়সার জন্য খাটার মানে দিদি জানেই না । সমিতির বয়স বেশি নয়, সংসারের অভিজ্ঞতা দিয়ে সমীরের ভাবান্তর তলিয়ে বাঝবার সধ্য তার ছিল না । কিন্ত ভাবান্তর যে ঘটেছে ওই বয়সের ছেলেমান ষী বদ্ধি দিয়েই সেটা সে ধরতে পারে। ছেলেমানষের মতই সোজাসাজি জিজ্ঞাসা করে বসে, উমাদির ওপর তোমার আজকাল এমন বরাগ জলমালো কেন ? সমীর চুপ করে থাকে। সমােত আব্দরের সরে বলে, বলই না মনের কথাটা-শানি। আমায় বলতে দোষ নেই। আমি সেরকম ফাজিল মেয়ে নাই যে তোমার মনের কথা শানে গিয়ে দশজনকে শনিয়ে বেড়াব ! তব সমীর চুপ করে থাকে । তার শীর্ণ শ্ৰান্ত কাগজের মত সাদাটে মাখের দিকে চেয়ে মমতা যেন উথলে ওঠে। সমিতির ব্যুকে । চোখে প্রায় জল এসে পড়ার উপক্রম হয় । সে জোর দিয়ে বলে, বলে, তোমায় বলতেই হবে । এই সেদিন পর্যন্ত তমি উম্যাদির রীতিমত ভক্ত ছিলে বলা যায়। -এর মধ্যে কি ঘটল যে মনটা তোমার বিগড়ে গেল ? আমাকে বলতে হবে । সমীর বলে, বলছি । বলে, সে রাষা। ঘর থেকে একটা বিড়ি ধরিয়ে আনতে যায় । দেশলাই বাঁচানো নয়, দেশলাই তার সত্যই খতম হয়ে গিয়েছিল । সমীরের নিজের ঘরে থাকার প্রশ্নই ওঠে না । সে থাকে হরিপ্রসনের কামরায় । দটাে চৌকির স্থান কুলোবে না বলে দ'জনের জন্য মেঝেতেই বিছানা করার ব্যবস্থা-সকালে বিছানা তলে নেবার পয় প্যাকিং কাঠের তত্ত্বা দিয়ে তৈরি হালকা ছোট Sb