পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* এখনি ছটি হয়ে যাবে। চল না। আজ রাতটা আমরাছ-সাতটা ফাইলের সন্তািপটার দিকে আঙ্গল বাড়িয়ে উমা বলে, ছটি তো হবে-এই ফাইলগালো সারতে হবে বাড়িতে । চোখ প্রায় কপালে তলে অজিত বলে, বাড়িতেও তোমাকে খাটতে হয় ! চন্দারদা কি ইয়াকি জড়েছে আমার সঙ্গে ? ঃঃ আমার চাকরি করার ব্যাপার নিয়ে তমি চন্দ্ৰবাবার সঙ্গে ইয়াকি দিতে গেলে কাল আমাকে রিজাইন দিতে হবে ।

  • {3 ! অজিত রেগে যায়, চলে যাবার জন্য পা বাড়ায় কিন্তু আবার দাঁড়ায়, চন্দ্রনাথের সম্পকে উমাকে সতক করে দেবার জন্য আবার বসে ।

উমার সম্পকে দায়িত্ব যেন সে ভলতে পারবে না। ঃ চন্দ্রনাথের সঙ্গে কিন্তু বেশি ঘে'ষাঘে’ষি করো না । মানষটা সবিধের নয়। উমা আশ্চর্য হয়ে তার দিকে চেয়ে থাকে । ঃঃ আমি আমাকে এই উপদেশ দিচ্ছি ? কে লোক ভাল নয়, কার সাথে মিশব না ? চন্দ্ৰবাব আমার বাবার ছাত্র - আমায় স্নেহ করেন । ওর সঙ্গে আমি যেমন খাসি, যত খশি মিশব । অজিত নীরবে চলে যায় । কে জানে চাকরিটা থাকবে কিনা ! অজিত এবার চন্দ্রনাথের ওপর চাপ দেবে কিনা। চাকরি থেকে তাকে তাড়াতে ! স্কুলে কলেজে বিদ্যালাভ করেছে, জানাশোনা হয়েছে অনেক মেয়ের সঙ্গে। তারই মধ্যে একজনের তািলনায় আরেকজনের সঙ্গে অন্তরঙ্গতাও খানিকটা বেশি হয়েছে অনায়াসেই বলা চলে । সে হিসাবে ঘনিষ্ঠ মেয়ে বন্ধ উমার আছে ধরা যায়। কিন্তু, যাকে বলে প্রাণের বন্ধ, হৃদয়মনের সমস্ত আড়াল আবড়াল ঘাঁচিয়ে দিয়ে সহজে স্বাভাবিকভাবে সব সময় মেলামেশা যায় যে সখীর সঙ্গে, সে রকম বন্ধ বা সখী একটিও নেই উমার। ছেলেবেলায় গলায় গলায় ভােব হত এ মেয়েটা ও মেয়েটার সঙ্গে-প্রাণের বন্ধুর যখন কোনই দরুকার ছিল না । মন খালে কি কথা বলবে সখীর সঙ্গে ? অলপ বয়সে সবই তো ছিল তখন মন-খেলা কথা । স্কুলজীবনে অতটা খেয়াল থাকেনি। কলেজে উঠে মাঝে মাঝে সখীর অভাব বোধ কয়েন্সে । এমন সব কথা ও সমস্যার আমদানি ঘটেছে জীবনে নিজে নিজে ভেবে যার কলেকিনারা পাওয়া যায় না, আবার সখী ছাড়া মািখ ফুটে অন্যের কাছেও বলা যায় না। দেহ নিয়েই কত প্রশ্ন জাগত, কত ধাঁধায় পড়তে হত, কত রকম ভয়-ভাবনায় বিব্রত ३ऊँ ३४ ॥ এমন কেউ ছিল না যে, দটো মাখের কথা বলে তাকে একটু সাহায্য করে। দেহ সম্পকে কত উদ্ভট হাস্যকর ধারণা এই সেদিন পৰ্যন্তও যে তার বজায় ছিল ! 8R