কি করি বল, উপায় কি । মা’র সেবার ছতো করে দিন পোহাচ্ছে, শেষকালে যদি পালায় ? কত রাত না ঘামিয়ে ছটফট করেছি। পাঁচী সাবস্তির হাসি হাসে ।
- নাঃ, মানষটা তেমন নয়। মনে প্ৰাণে জানতাম ঠিক, নইলে কি আর-?
বকল বলে, কি কাম্প্রড তোদের, মাগো ! ছিঃ ছিঃ ! পাঁচী বলে, ছিছি কি গো দিদিমণি ? মেয়েছেলে-মোদের কত কি সইতে হয়, মানতে হয় । মা’র নইলে চিকিচেছ হত এক বচছর ? রোগ ধরতেই পািল তলত সাতদিনে । ঃ এক বচছর বাঁচিয়ে কি হল ? ঃ ওমা ! রোগ হলে বাঁচাবার চেন্ট হবে না ? গোড়ায় আশা ছিল না। সেরে যাবে । দতিনবার ভাল হয়ে উঠছিল, ফের বিগড়ে গেল তো করা কি। এসব রোগের তেমন চিকিচ্ছে কি আর মোদের দিয়ে হয় ? দামী দামী ওষধ চাই, ভাল ভাল পথ্য চাই বকল খানিকক্ষণ চুপ করে থাকে । ঃ তা, ভালবাসা আছে বলছিস-খাঁটি দরুদ ! কেলেঙ্কারি না করে তোর মা’র চিকেচ্ছেটা চালাতে পারত না ? এ কেমন ধারা দরদ ! পাঁচী বলে, মোরা যে মােখ্য গরীব ছোটলোক মানষি গো দিদিমণি । তোমাদের ছাঁকা দরদের পিরিত কি মোদের পেটে সয় ? পাঁচাঁকে বিদায় দেবার পর বকলের মনে হয়, মাথাটা তার ঘরেছে। জীবনে এই যেন প্রথম ! সত্যসত্যই মাথা ঘরছে। কান্তা এসে কথায় কথায় কত অদ্ভুত কথা বলে, শনতে শািনতে মনে হয় তার মাথা ঘরছে । কিন্ত আজ পাঁচীর সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বলে সে টের পাচ্ছে সত্যিকারের মাথা ঘোরা কাকে বলে ! কাতিকের সঙ্গে পাঁচীর বিয়ে ! তাদের কেউ নেমতান্ন করেনি । ওদের বিয়ের উৎসবে তারা কেউ যাবার কথা কল্পনাও করেনি । কক্ষতা এসে গোল বাধায় । বলে, তাই কখনো হয় ? আমাদের নেমন্তষ করেনি বলে, মাদ্রা মিঠাই খাওয়াবে না বলে, একবার উকি দিতেও যাব না ? আমরাও কত কথা বলেছি। ওদের নামে-কত গবেষণা চালিয়েছি । গরীব বোকা পাঁচীরা এমনিভাবেই খোলার ঘরের নন্ট মেয়েতে পরিণত হয় বলে কত আপসোস করেছি । সামাজিক বিয়ে হচ্ছে ওদের, আমরা একবার যাব না, পাঁচীকে দ্য একটা উপহার দিয়ে জানাবো না। আমরা কত খশি। 5रक्षछि ? অনিল বলে, সে হিসাবেও বটে, আবার এ হিসাবেও বটে যে ওর মত শান্ত মেয়ে আমরা 8b፥
